Advertisement
১৮ মে ২০২৪

রাস্তার কাজের মান নিয়ে অভিযোগ ক্যানিং ব্লকে

বাম আমলে তৈরি হয়েছিল ইটের ডবল সোলিং রাস্তা। প্রধানমন্ত্রীর গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে বর্তমানে সেই রাস্তাতেই পিচের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতার মদতে রাতের অন্ধকারে ঠিকাদার সংস্থা রাস্তার সেই পুরনো ইট তুলে সরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রেও অত্যন্ত নিম্নমানের মালপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

এই হাল রাস্তার।—নিজস্ব চিত্র।

এই হাল রাস্তার।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:১১
Share: Save:

বাম আমলে তৈরি হয়েছিল ইটের ডবল সোলিং রাস্তা। প্রধানমন্ত্রীর গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে বর্তমানে সেই রাস্তাতেই পিচের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতার মদতে রাতের অন্ধকারে ঠিকাদার সংস্থা রাস্তার সেই পুরনো ইট তুলে সরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রেও অত্যন্ত নিম্নমানের মালপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

সম্প্রতি ক্যানিং ১ ব্লকের নিকারিঘাটা পঞ্চায়েতের কালীমন্দির মোড় থেকে বনবিবি মন্দির, মধ্যপাড়া পরিনিখেকো মোড় থেকে ডাবু ক্যানেল রোড এবং ঢোসা ব্রিজ থেকে নস্করপাড়া পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ কিলোমিটার রাস্তা ইটের ছিল। বাকিটা মাটির রাস্তা ছিল। স্থানীয় মানুষের আভিযোগ, তৃণমূল নেতা ও ঠিকাদার মিলে রাস্তা থেকে গোপনে ইট সরিয়ে দিচ্ছে। এলাকার লোকজন বাধা দিতে গেলে তৃণমূলের কিছু লোকজন তাঁদের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। এ বিষয়ে আনসার মণ্ডল, মুজিবর মণ্ডল, মামুদালি আলিরা বলেন, “রাস্তার পুরনো ইটগুলি রাতে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ইট কোথায় যাচ্ছে জানতে চাইলে বা বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারছে না।” ওই বাসিন্দাদের কথায়, “এর প্রতিবাদ করলে তৃণমূলের লোকজন নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি মহকুমাশাসককে লিখিত জানিয়েছি।”

ঠিকাদার সংস্থার মালিক পলাশ রানা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি যেমন ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছি, সেই মতো কাজ করছি। তা ছাড়া, কাজের শেষে রাস্তার পুরনো ইটের একটা দাম ঠিক করে আমার যা টাকা হবে তা থেকে বাদ দেওয়া হবে বলেও দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে।” নিম্নমানের মালপত্র ব্যবহারের অভিযোগও মানেননি তিনি। অন্য দিকে, তৃণমূলের নেতা তথা নিকারিঘাটার অঞ্চল সভাপতি সজনী নস্কর বলেন, “আমি অসুস্থ। হাসপাতালে আছি। ওই রাস্তা নিয়ে কেউ যদি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে, তা হলে আমার কিছু করার নেই।” মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “ওই রাস্তা নিয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিডিওকে বলেছি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

caning road southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE