Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

এক দিন পর ঘেরাও উঠল গৌড়বঙ্গে

টানা ২৮ ঘণ্টা পরে ঘেরাও মুক্ত হলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহের নিয়ামক –সহ অন্য আধিকারিকরা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৬
Share: Save:

টানা ২৮ ঘণ্টা পরে ঘেরাও মুক্ত হলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহের নিয়ামক –সহ অন্য আধিকারিকরা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁদের দাবি মেনে নিখরচায় তিনটি পত্রের পুনর্মূল্যায়ন ও পরীক্ষার সূচি বদলানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন। তারপরই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আশ্বাস পূরণ না হলে ফের আন্দোলনে নামা হবে। পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাস বলেন, ‘‘আমরা শুরু থেকেই ছাত্র ছাত্রীদের আশ্বাস দিয়ে আসছিলাম যে তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে। প্রথম দিকে তা মেনে না নিলেও এ দিন আশ্বাস মেনে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা। সহানুভূতির সঙ্গে তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে।’’

শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে সনাতনবাবুর ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের আড়াইশো জন ছাত্র-ছাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় চার মাস পরে ২৫ জানুয়ারি যখন ফলাফল প্রকাশিত হয়, তখন দেখা যায় ৮০ শতাংশ পড়ুয়াকে গড়ে নম্বর দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে ছাত্র ছাত্রীরা। প্রথমে ফলাফল প্রত্যাহার করার দাবিতে সনাতনবাবুকে তাঁরা স্মারকলিপি দেন। তারপরে তাঁর ঘরের সামনে বসে পড়েন ছাত্র ছাত্রীরা। তাই রাতভর দফতরেই রাত কাটাতে বাধ্য হন সনাতনবাবু-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। আন্দোলনের জেরে শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে আসেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপকরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। তখনই ছাত্র-ছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের বক্তব্য, খাতা না দেখে খেয়াল খুশি মতো নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাই সবাই গড়ে নম্বর পেয়েছেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি পত্রের খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ১০০ টাকা করে দিতে হয়। নিখরচায় পুনর্মূল্যায়ন এবং তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা ২৩ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে মার্চ মাসে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পরীক্ষা কমিটি পড়ুয়াদের দাবি খতিয়ে দেখবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE