ছোটবেলা পেট একটু গড়বড় করলেই মা জোয়ানের আরক খেতে দিতেন। কিংবা নুন-লেবু রসে জারানো এক চামচ জোয়ান হাতে দিয়ে বলতেন, চিবিয়ে খেয়ে নিতে। একটু পরে পেট ব্যাথা গায়েব। গ্যাস হোক বা অ্যাসিডিটি— হজমের যে কোনও সমস্যায় উপকারী জোয়ান। ক্ষুধাবর্ধক হিসাবেও খুব নামডাক। তবে, বেশি জোয়ান খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। আয়ুর্বেদে কান, মাথা ব্যাথার উপশমে ব্যবহার হয় জোয়ানের নির্যাস। বিশেষ করে ঠান্ডা লাগার ক্রনিক রোগে ভুগলে সপ্তাহ দু’য়েক এক চামচ করে জোয়ান চিবিয়ে খেতে বলেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা। অ্যাজমার রোগে জোয়ানের পেস্টের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। জোয়ানের মধ্যে থাইমল নামে যে ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ থাকে, তার ছত্রাকনাশক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক গুণের জন্যই এতগুলো রোগ সারে। কিডনিতে পাথর বা ডায়াবেটিসের মতো রোগেও উপকারী জোয়ান।
অনেক গুণ থাকলেও ঝাঁঝালো স্বাদের জন্য রান্নায় জোয়ানের ব্যবহার কম। পাউরুটি, বিস্কুটে ‘সিজনিং’ হিসাবে ব্যবহার বেশি। জোয়ানের পরোটা পঞ্জাব-সহ উত্তর ভারতে জনপ্রিয়। আটা বা ময়দা মাখার সময় একটু জোয়ান মিশিয়ে নিলেই হল। অনেকে অবশ্য বেলার সময় উপরে জোয়ান ছড়িয়ে দেন। জোয়ানের চা খুবই স্বাস্থ্যকর। গরম জলে পাতা চা ভেজানোর সময় একটু জোয়ান দিয়ে দিন। সঙ্গে আদা দিলেও ভাল লাগে। তবে, এই চায়ে দুধ না দেওয়াই ভাল। জোয়ান দিয়ে জল ফুটিয়ে তাতে কুলকুচি করলে দাঁতের ব্যাথা কমে। জোয়ানের তেল দিয়ে পায়ে মালিশ করলে আর্থ্রাইটিসে উপকার হয়। দই দিয়ে জোয়ানের পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগালে ব্রন, ফুসকুড়ি কমে, কালো দাগ মোছে। আর কত বলব?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy