Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

স্বচ্ছতার পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়েও

হস্টেলে খাবার তৈরির প্রক্রিয়া, পরিচ্ছন্নতা, রাঁধুনিদের পোশাক ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরে গ্যাস ও চিমনি আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল। এ ছাড়াও জল সরবরাহ ব্যবস্থা, পানীয় জলের গুণমান ও ক্যাম্পাসের সবুজায়ন আছে বিচার্যের তালিকায়।

মধুমিতা দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ১০:৫০
Share: Save:

পঠনপাঠন ও পরিকাঠামোর মান কার কেমন, সেই বিষয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বা নাক-এর সামনে পরীক্ষা দিতে হয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। এ বার তাদের বসতে হবে স্বচ্ছতার পরীক্ষায়। দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই স্বচ্ছতা সংক্রান্ত র‌্যাঙ্কিং যাচাইয়ের উদ্যোগে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি।

শিক্ষালয়ে স্বচ্ছতার বিষয়ে অবশ্য অনেক আগেই প্রশ্ন তুলেছিল নাক। বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে নম্বর ও র‌্যাঙ্কিংয়ের ব্যবস্থা করে তারা। এ বার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা পরীক্ষা করে র‌্যাঙ্ক নির্দেশ করবে ইউজিসি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে রেল-সহ প্রায় সব সরকারি সংস্থাই। সম্প্রতি ইউজিসি-র সচিব যশপাল সিংহ সাঁধুর নির্দেশে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতার নিরিখে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রমতালিকা তৈরি হবে। তার জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। গোটা বিষয়টি দেখতে অগস্টে প্রতিটি ক্যাম্পাসে যাবে কেন্দ্রীয় দল।

স্বচ্ছতা বা পরিচ্ছন্নতা পরখের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে, তার একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। তাতে রয়েছে: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে শৌচাগারের পরিস্থিতি, ক্যাম্পাসে কত দিন অন্তর ময়লা পরিষ্কার করা হয় এবং তার জন্য কোনও নতুন প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয় কি না ইত্যাদি। হস্টেলে খাবার তৈরির প্রক্রিয়া, পরিচ্ছন্নতা, রাঁধুনিদের পোশাক ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরে গ্যাস ও চিমনি আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল। এ ছাড়াও জল সরবরাহ ব্যবস্থা, পানীয় জলের গুণমান ও ক্যাম্পাসের সবুজায়ন আছে বিচার্যের তালিকায়।

শুধু নিজেদের প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদৌ ভাবে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল। সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশেপাশের কোনও অঞ্চল কিংবা গ্রাম রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে কি না এবং সেখানে পরিচ্ছন্নতার পক্ষে কাজ করে সফল হয়েছে কি না, তার উপরে ১৫ শতাংশ নম্বর রাখা হয়েছে। আর তালিকাভুক্ত বিষয়ের উপরে থাকবে ৮৫ শতাংশ নম্বর।

নাক-এর পরিদর্শকেরা কয়েক মাস আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বেসরকারি সংস্থা নিয়োগ করে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্তরের এই স্বচ্ছতা র‌্যাঙ্কিংয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যোগ দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রেজিস্ট্রার রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE