Advertisement
১৭ জুন ২০২৪
Dengue

ভাঙড়ে কলকাতার দল কেন, বিতর্ক পুরসভায়

কলকাতায় ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে পুর প্রশাসন যখন অস্বস্তিতে, তখন শহরে কর্মরত মশা মারার অভিযানের দলকে সরিয়ে নেওয়া হল কার নির্দেশে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩৭
Share: Save:

ভাঙড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ সামাল দিতে পাঠানো হল কলকাতা পুরসভার বিশেষজ্ঞ দলকে। রবিবার কলকাতা পুর এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধ অভিযানে কর্মরত পুরকর্মীদের ভাঙড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে বিতর্ক শুরু হয় পুরসভার অন্দরমহলে। কলকাতায় ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে পুর প্রশাসন যখন অস্বস্তিতে, তখন শহরে কর্মরত মশা মারার অভিযানের দলকে সরিয়ে নেওয়া হল কার নির্দেশে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল নেতৃত্বের কথাতেই কি এমনটা হয়েছে? তাতে বাড়বে না তো কলকাতার সমস্যা? বিকেলে অবশ্য সব প্রশ্নের অবসান হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণায়। নবান্নে তিনি জানিয়ে দেন, ভাঙড়ে ডেঙ্গিতে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় মশা দমনের কাজে কলকাতা পুরসভার টিমকে পাঠাতে হয়েছে। রবিবার শুধু নয়, সোমবারও পুরসভার ডজন খানেক টিম ভাঙড়ের জিরানগাছা, চরিশ্বর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এলাকায় মশা মারার কাজ চালিয়েছে। ওই কাজে ছিল পুরসভার কেন্দ্রীয় অফিসের র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম ও ৭ নম্বর বরোর ভেক্টর কন্ট্রোল ও র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম।

কিন্তু ডেঙ্গির মতো মশাবাহী রোগ প্রতিরোধে কলকাতা পুরসভার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা যুক্তিসঙ্গত কি? প্রশ্ন উঠতেই পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক অফিসার জানান, ২০১২-’১৩ সালে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ার পর থেকে কলকাতা লাগোয়া পুরসভাগুলিকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ কমাতে হলে লাগোয়া পুরসভাগুলিরও মশা মারার পরিকাঠামো গড়তে হবে। পুরসভার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, তখনই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে কলকাতা থেকে প্রস্তাব পাঠিয়ে বলা হয়েছিল লাগোয়া পুরসভাগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দিতে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন তা মেনে বছর দুয়েক আগে সম্মেলন করে। কলকাতা লাগোয়া ১০টি পুরসভাকে ডাকাও হয়। সব পুরসভার কতৃর্পক্ষকে বলা হয় মশা বাহিত রোগ দমনের পরিকাঠামো গঠনে কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে ডিপিআর দিতে। কিন্তু অনেকেই তা পাঠাননি।

কলকাতা পুর প্রশাসনের দাবি, লাগোয়া পুরসভাগুলিতে মশাবাহী রোগ নিবারণের পরিকাঠামো না থাকায় ভুগতে হচ্ছে শহরবাসীদের। তাঁদের যুক্তি, প্রতিদিন ৫০-৬০ লক্ষ লোক শহরে আসেন। বাইরের কেউ ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে মশার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়। দক্ষিণ দমদম,
দমদম, বিধাননগর থেকে সোনারপুর, ভাঙড়, মহেশতলা-সহ বহু এলাকার সঙ্গে যুক্ত কলকাতার ওয়ার্ড এলাকায় সমস্যা বাড়ছে।

নবান্ন সূত্রের খবর, শুধু ভাঙড় নয়, রাজ্যের অনেক এলাকাতেই মশা দমনের পরিকাঠামো নেই। উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে আতঙ্ক যখন বাড়ছে, তখন সেখানে পুরসভার দল পাঠানো হচ্ছে না কেন? সেখানে তো বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিন তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে পুরসভার অন্দরমহলে। পুর প্রশাসনের কেউ অবশ্য এ নিয়ে টুঁ শব্দটিও করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Bhangar ভাঙড় ডেঙ্গি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE