Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ব্যারাকপুরে খোঁজ বিকল্প বিমানবন্দরের

ব্যারাকপুরের কাছে তিনটি পুরসভা এলাকায় প্রায় ১০০০ একর জমিতে কলকাতার বিকল্প বিমানবন্দর গড়ে উঠতে পারে।

কলকাতা বিমানবন্দর।

কলকাতা বিমানবন্দর।

সুনন্দ ঘোষ ও চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:০১
Share: Save:

ব্যারাকপুরের কাছে তিনটি পুরসভা এলাকায় প্রায় ১০০০ একর জমিতে কলকাতার বিকল্প বিমানবন্দর গড়ে উঠতে পারে।

বিকল্প বিমানবন্দরের জমির খোঁজে রাজ্য সরকার যে কমিটি তৈরি করেছে, তার চেয়ারম্যান তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সোমবার বলেন, ‘‘দিন পনেরো আগে ব্যারাকপুরে কাপাচাকলা এলাকায় ওই জায়গাটি কমিটি চিহ্নিত করেছে। জায়গাটি জগদ্দল, ভাটপাড়া ও নৈহাটি পুরসভার অধীনে। জমির মাপজোক শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ মন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিটি জমির বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। শুধু রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাবে।

দেশের প্রায় প্রতিটি বড় শহরে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দমদম বিমানবন্দর সম্প্রসারণের একটি পরিকল্পনা সম্প্রতি জমা পড়েছে দিল্লিতে। বলা হচ্ছে, ২০২৮ সালে ৫ কোটি যাত্রী ওই বিমানবন্দর ব্যবহার করবেন। তত দিন পর্যন্ত বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করে কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু, তার পরে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরি ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।

কিন্তু এ রাজ্যে এক লপ্তে খুব বেশি জমি পাওয়া যে কঠিন তা সকলেরই জানা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র বলেন, ‘‘বিকল্প বিমানবন্দরের জন্য ১০০০ একর জমি হলেই চলবে। কারণ, আমাদের প্রয়োজন, আড়াই কিলোমিটার লম্বা এবং ১৮০ মিটার চওড়া একটি রানওয়ে। তবে যত বেশি জমি পাওয়া যাবে ততই ভাল।’’ উল্লেখ্য দমদম বিমানবন্দর প্রায় ১৬৪১.৩৪ একর জমির উপর তৈরি।

কী পদ্ধতিতে জমি নেওয়া হবে? নবান্ন সূত্রের দাবি, সড়ক তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের নির্দিষ্ট আইন থাকলেও বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে তা নেই। ফলে জমি চূড়ান্ত হওয়ার পরে এ ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করবে রাজ্য।

কিন্তু অন্ডালে তো একটা বিমানবন্দর রয়েছেই। তা হলে আবার অন্য একটা বিমানবন্দরের ভাবনা কেন? প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অন্ডালকে বিকল্প বিমানবন্দর হিসেবে মেনে নিতে চাননি। তাঁরা দমদম বিমানবন্দরের কাছেই বিকল্প বিমানবন্দর করতে চাইছেন।’’ এ প্রসঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এক বিমানবন্দর থেকে অন্য বিমানবন্দরে যেতে বড় জোর এক ঘণ্টা লাগতে পারে। তা না হলে সংযোগকারী বিমান ধরতে যাত্রীদের সমস্যা হবে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্তা জানিয়েছেন, নবি মুম্বইয়ে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে তা শেষ হওয়ার কথা। দিল্লির কাছে হরিয়ানায় জেওয়ারে জমি চিহ্নিত হয়েছে। জমি চিহ্নিত হয়েছে চেন্নাইয়ের বিকল্প বিমানবন্দরের জন্যও। বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দর বাড়াতে আরও জমি অধিগ্রহণ করে সরকার তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষের হাতে। হায়দরাবাদে হাকিমপেটে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। এমনকি, ভুবনেশ্বরের বিকল্প বিমানবন্দর তৈরির জন্য তিনটি জায়গা দেখিয়েছে নবীন পট্টনায়কের সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE