অফিসের কম্পিউটারে বসে পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সাইবার আইনে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। জেলার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক (ডিসিপিও)-এর পদে এমনই এক ব্যক্তির নিয়োগ প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। শেষে রাজ্যের মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় আটকে দিলেন সেই নিয়োগ।
রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের সচিব রোশনী সেন বলেন, ‘‘ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ পায়নি পুলিশ। তা সত্ত্বেও মুখ্যসচিবের চিঠি পেয়ে ওঁকে নিয়োগ করা হচ্ছে না।’’
প্রান্তিক ঘোষ নামে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি গোবরডাঙায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের অফিসার। অভিযোগ, ২০১৫-র জুলাইয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় সরকার অনুমোদিত হোমের সুপার-পদে থাকাকালীন ওই ব্যক্তি হোমের অফিসের কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি দেখছিলেন। দফতরের এক কর্তার কথায়, শিশুদের হোমে সুপারের পদে থেকে অফিসে অশ্লীল ছবি দেখা ‘জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী অপরাধ। ‘‘ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন্স ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স’ বা পক্সো আইনে অভিযোগ করার কথা। কিন্তু সেই সময় তাঁর আশেপাশে শিশু ছিল কি না, তার প্রমাণ না-মেলায় শুধু সাইবার আইনেই মামলা করা হয়,’’ বললেন দফতরের ওই কর্তা।
এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সেই হোম থেকে প্রান্তিককে সরিয়ে দেওয়া হয়। সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত করিয়ে রিপোর্ট দিতে বলে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও। সেই রিপোর্ট জমা পড়ে নভেম্বরে। তার ভিত্তিতে মুখ্যসচিবকে চিঠি লেখে কমিশন। সেই চিঠি পেয়েই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। দিন চারেক আগে সেই নির্দেশ পৌঁছয় নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের সচিব রোশনীদেবীর কাছে। তার মধ্যেই ডিসিপিও-পদে অভিযুক্তকে নিয়োগের ফাইলে সই করেন সচিব রোশনীদেবী।
প্রান্তিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তিনি জানতেন না বলে স্বীকার করেছেন রোশনীদেবী। তিনি বলেন, ‘‘উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ডিসিপিও-পদ খালি রয়েছে। শীঘ্রই নিয়োগ জরুরি। উত্তর ২৪ পরগনার জন্য ওই ব্যক্তিকে বাছা হয়েছিল। কিন্তু ওঁর সম্পর্কে এ-সব তথ্য চাপা দিয়েই নাম পাঠানো হয়েছিল আমার কাছে।’’ এই বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে প্রান্তিক জানান, সব অভিযোগ মিথ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy