বাড়ি তৈরি হচ্ছে একটাই। কিন্তু তার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ— তিন স্তর থেকেই পৃথক পৃথক ফি দাবি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এ ভাবে ইচ্ছেমতো ফি আদায়ে রাশ টানছে রাজ্য সরকার। বুধবার পঞ্চায়েত দফতরের এক অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, এ বার এলাকা-ভিত্তিক ফি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। কত তলা বাড়ির জন্য কারা কতটা ফি নিতে পারে, তা-ও ঠিক করে দেওয়া হবে। সুব্রতবাবুর বিশ্বাস, এতে ফি নিয়ে খামখেয়ালিপনায় রাশ টানা যাবে।
মন্ত্রী জানান, পঞ্চায়েতের আয় বাড়াতে আইন মোতাবেক বাড়ি তৈরির ফি নেওয়া যেতে পারে। আগে থেকেই এই ব্যবস্থা রয়েছে। তা হলে সমস্যা কোথায়? সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি তৈরির ফি নিয়ে নানা অভিযোগ আসে। কারণ এ ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট নীতি নেই।’’ আর যাতে সমস্যা না-হয়, সেই জন্য পঞ্চায়েত দফতর সুস্পষ্ট নীতিনির্দেশ দিয়ে দেবে বলে জানান মন্ত্রী।