এসডিজেএ- কেলেঙ্কারিতে আইএএস অফিসার কিরণ কুমার গোদালাকে গ্রেফতার করলেও রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে সরকার আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, যে নেতাদের সরকার আড়াল করার চেষ্টা করছেন তাঁরা সকলেই এসজেডিএ-র বোর্ড সদস্য। অশোকবাবু এই কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্তও দাবি করেছেন।
বস্তুত, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের (এসডিজেএ) বিভিন্ন প্রকল্পে বিনা কাজেই ঠিকাদারদের ১৯০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। এ নিয়ে সিআইডি তদন্ত করছে। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে দুটি পৃথক জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। সিআইডি আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে গোদালাকে গ্রেফতার করেছে।
১৯০ কোটি টাকার এসজেডিএ-কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’বছর আগে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জয়রামনও গ্রেফতার করেছিলেন গোদালাকে। কিন্তু তারপরে মহাকরণ থেকে মুখ্য সচিবের নির্দেশে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। পরে তিনি সরকারি পদেও যোগ দেন।
এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বুধবার আলিমুদ্দিনে এক সাংবাদিক বৈঠকে অশোকবাবু বলেন, ‘‘শুধু সিআইডি নয়, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)-ও এই কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করছে। ইডি যাতে গোদালাকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে না নিতে পারে, তার জন্যই সিআইডি তড়িঘড়ি তাঁকে গ্রেফতার করল।’’
সারদা-কেলেঙ্কারির উল্লেখ করে ঠিক যে ভাবে তৃণমূলের রাঘববোয়ালদের সিবিআইয়ের হাত থেকে আড়াল করতে রাজ্য সরকারের পুলিশ কুনাল ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল, ঠিক সেই ভাবেই গোদালাকেও গ্রেফতার করা হল বলে অশোকবাবুর অভিযোগ।
রুদ্রনাথবাবু এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে মুখ্যমন্ত্রী এসডিজেএ-র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গ টেনে অশোকবাবু বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছিলেন, কোনও অপরাধীদেকেই ছাড়া হবে না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল কমিটি তদন্ত রিপোর্টয়ে বলেছে, নীতি নির্ধারকদের যোগসাজশ ছাড়া এই দুর্নীতি হওয়া সম্ভব নয়।’’ তার পরেও রুদ্রনাথবাবু-সহ কোনও বোর্ড সদস্যের বিরুদ্ধেই কেন চার্জ শিট দেওয়া হল না? অশোকবাবু সে প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘বোর্ড সদস্যদের অনুমোদন ছাড়া কখনওই ঠিকাদারদের টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তার পরেও রুদ্রনাথবাবু-সহ তৃণমূলের বিধায়ক, নেতারা কি করে বোর্ড সদস্য রয়ে গেলেন?’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘উন্নয়নের নামে জনগণের ১৯০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেও সরকার তৃণমূল নেতাদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy