নাকালের রোজনামচার মধ্যেই অন্য ছবি আঁকলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালাপুরের ব্যবসায়ী সুবোধ দাস। বৃহস্পতিবার পোলট্রি ব্যবসায়ী সুবোধবাবু তাঁর কাছে জমা ১০০ টাকার নোটে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা দিলেন। আর তা দিয়েই বার্ধক্য এবং বিধবা ভাতার প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিল ব্যাঙ্ক।
ওই ব্যাঙ্কের শাখায় বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা প্রাপক রয়েছেন ৬,৩০০ জন। সবাইকে ভাতা দিতে প্রয়োজন হয় ৩ লক্ষ টাকার বেশি। শাখা ম্যানেজার সৈকত দাস বলেন, ‘‘যা টাকা আমরা পাচ্ছি সবই নতুন দু’হাজারের নোট। ভাতার পরিমাণ তার কম বা বেশি। খুচরোর সঙ্কটে ভাতা দেওয়া সম্ভব ছিল না। এক ব্যবসায়ী এ দিন একশো টাকায় তিন লক্ষাধিক টাকা জমা রেখেছেন। সেই টাকা দিয়ে ভাতা মিটিয়েছি।’’
সুবোধ বলেন, ‘‘ব্যবসার খাতিরে নগদ টাকা বেশি রাখছিলাম। কিন্তু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হয়রানির কথা ভেবে গোটা টাকাটাই ব্যাঙ্কে জমা করি।’’ বালাপুরে ছোট একটি পোলট্রি ফার্ম চালান তিনি। এত পরিমাণ টাকা জমা দেওয়ায় অতিরিক্ত কর লাগবে তো। সুবোধবাবুর উত্তর, ‘‘বছরে ৬০-৭০ হাজার টাকা আয়কর দি। আমার সব টাকাই সাদা।’’
এ দিকে ফালাকাটার ভুটানিরঘাটে উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কে টাকা না মেলায় এ দিন দেড় ঘণ্টা অবরোধ চলে জাতীয় সড়কে। গত সাত দিন ধরে ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ চলেছে। ক্ষোভ বাড়়ছিল বুধবার থেকেই। দিনভর ওই শাখার কর্মীদের অফিসের ভিতরেই আটকে রেখেছিলেন গ্রাহকদের একাংশ। ব্যাঙ্কের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার থেকে টাকা মিলবে। তাই সকাল থেকে কয়েক’শো গ্রাহক ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দেন। ঘড়ির কাঁটা দশটা ছুঁতেই কর্মীরা জানিয়ে দেন, ‘‘আজও টাকা আসেনি।’’ তার পরেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy