সকালে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল। কিন্তু বিকেলে জমিমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে অন্ডালে বিমাননগরীর উপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ পরিবাহী বিদ্যুতের লাইন সরানো নিয়ে আপাতত সমস্যা মেটালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি জানান, জমি সমীক্ষার কাজে সম্মতি দিয়েছেন বাসিন্দারা। আজ, সোমবার থেকে সেই কাজ শুরু হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইছাপুর গ্রামের উপর দিয়ে ওই বিদ্যুতের লাইনের ৮টি টাওয়ার যাওয়ার কথা। এর আগে একাধিক বার জমি সমীক্ষার কাজে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে নিশ্চিত সিদ্ধান্তের আগেই তাঁদের জমিতে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল। জমি মালিক, বর্গাদার ও খেতমজুরদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরে তাঁরা জমি দেবেন বলে দাবি করেছিলেন। অচলাবস্থা কাটাতে স্থানীয় দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে রবিবার ইছাপুর পঞ্চায়েতে বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র না বেরোনোয় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। এর পরেই বিকালে মন্ত্রী মলয়বাবু গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে ঠিক হয়। ‘ইছাপুর কৃষিজমি রক্ষা ও সংগ্রাম কমিটি’র সম্পাদক উত্তম গড়াই বলেন, “সকালের বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আমরা বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসি।” এক বাসিন্দা অমিত চক্রবর্তীর দাবি, “আমরা ২৫-৩০ জন জমি মালিক রয়েছি। বর্গাদার ও খেতমজুর রয়েছেন প্রায় বারোশো। সবাইকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিলে জমিতে কাজ করতে দেব।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অচলাবস্থা কাটাতে বিকেলে এডিডিএ অতিথিশালায় মন্ত্রী মলয়বাবু বৈঠক ডাকেন। সেখানে গ্রামবাসীরা ছাড়াও ছিলেন টাওয়ার সরানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকা সংস্থার লোকজনও। বৈঠক শেষে মলয়বাবু জানান, জমি সমীক্ষার কাজ করতে দিতে সম্মত হয়েছেন গ্রামবাসীরা। প্রথমে কারা জমির মালিক তা নির্দিষ্ট করা হবে। সেই জমিতে কত জন বর্গাদার এবং খেতমজুর রয়েছেন, তা বের করা হবে। তার পরে জমির দাম এবং ক্ষতিপূরণের হার নির্দিষ্ট করতে ফের বৈঠক হবে। মন্ত্রীর আশ্বাস, “দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে। নির্দিষ্ট সময়েই প্রকল্প শেষ হবে।” কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক উত্তমবাবু বলেন, “আমরাও চাই, প্রকল্প হোক। কিন্তু আমাদের বঞ্চিত করে নয়। মন্ত্রীর আশ্বাসে আপাতত জমিতে সমীক্ষায় রাজি হয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy