Advertisement
E-Paper

মেলায় ঝাঁপ দু’দিন, সমস্যায় হস্তশিল্পীরা

দু’টো হস্তশিল্প মেলার মধ্যে ব্যবধানটা মাত্র ৪৮ ঘণ্টার। জায়গাও একই, দুর্গাপুরের আরবান হাট। কিন্তু সোমবার মেলা শেষের পরে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিল্পীরা কোথায় থাকবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে অনেক শিল্পীকেই এলাকায় পরিচিতদের কাছে জিনিসপত্র রাখতে হচ্ছে। তবে থাকবেন কোথায়, তা নিয়ে সকলেই পড়েছেন আতান্তরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৬ ০১:১৫
মেলা শেষে গোটানোর পালা। দুর্গাপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

মেলা শেষে গোটানোর পালা। দুর্গাপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

দু’টো হস্তশিল্প মেলার মধ্যে ব্যবধানটা মাত্র ৪৮ ঘণ্টার। জায়গাও একই, দুর্গাপুরের আরবান হাট। কিন্তু সোমবার মেলা শেষের পরে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিল্পীরা কোথায় থাকবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে অনেক শিল্পীকেই এলাকায় পরিচিতদের কাছে জিনিসপত্র রাখতে হচ্ছে। তবে থাকবেন কোথায়, তা নিয়ে সকলেই পড়েছেন আতান্তরে।

এ বারের মেলা শুরু হয়েছিল ৩ জুন থেকে। রবিবার ছিল মেলার শেষ দিন। পরে কর্তৃপক্ষ মেলা আরও এক দিন থাকবে বলে জানিয়ে দেন। মেলা শেষ হয় সোমবার। মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাঁসার বাসনপত্র, পট চিত্র, পাটের জিনিসপত্র, কাগুজে ফুল-সহ বিভিন্ন পসরা এনেছিলেন শিল্পীরা। মেলায় বিক্রবাটাও বেশ ভালই হয়েছে বলে জানান তাঁরা। সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরের মেলা শুরু হতে চলেছে বৃহস্পতিবার থেকে। ইতিমধ্যে সংস্থার সূত্রে জানানো হয়েছে, মেলার হাট এই দু’দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। সংস্থা সূত্রে খবর, মূলত মেলার জায়গা, শৌচাগার ইত্যাদি সাফাই করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষুদ্র ও হস্তশিল্পীদের পসরা শহুরে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে ২০১২ সালে দুর্গাপুরে পলাশডিহার কাছে চালু হয় আরবান হাট। সেখানে সারা বছরই মাসজুড়ে পাক্ষিক মেলার আয়োজন করা হয়। মাসে দু’টি মেলার মাঝখানে থাকে দিন কয়েকের বিরতি থাকে। মেলার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ‘মাইক্রো অ্যান্ড স্মল স্কেল এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি সংস্থা। সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলায় জলপাইগুড়ি, মেদিনীপুর, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পসরা নিয়ে হাজির হন।

কর্তৃপক্ষের আরবান হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানার পরেই আতান্তরে পড়েছেন শিল্পীদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের পরিচিতদের কাছে জিনিসপত্র রেখে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিতল-কাঁসার এক শিল্পী বলেন, ‘‘মেলা চত্বরে জিনিসপত্র রাখার জন্য গুদামঘর থাকলে এত সমস্যা হতো না।’’ কাগজের ফুল নিয়ে ভিন্ জেলা থেকে এসেছেন এক শিল্পী। তাঁর কথায়, ‘‘দু’দিনের জন্য বাড়ি গিয়ে ফের বৃহস্পতিবার আসা খরচে পোষাবে না। জানি না কী করব!’’ অন্যান্য বছরেও কী এমন সমস্যায় পড়তে হয়? শিল্পীরা জানান, প্রতি বছর এক বার যিনি মেলায় যোগ দেন, তিনি সাধারণত আর পরের মেলায় যোগ দিতে পারেন না। এ বারই আগের মেলার কয়েকজন শিল্পী পরের মেলাতেও যোগ দেবেন বলে থেকে গিয়েছেন।

সংস্থার দুর্গাপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর দিলীপ ঢালির সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

problem Handicraft Fair Durgapur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy