সচেতনতায়: নিজের শিল্পকর্ম হাতে প্রসেনজিৎ দাস। নিজস্ব চিত্র
ডিম নিয়ে গুজব রুখতে ডিমের খোলাই হাতিয়ার।
কালনার যুবক প্রসেনজিৎ দাস সচেতনতার প্রচারে বেছে নিয়েছেন এমনই রাস্তা। ডিমের খোলার গায়ে সূক্ষ শিল্পকর্ম করাই তাঁর বহুদিনের শখ। এ বার সেই সূক্ষ্ম শিল্পের কাজকেই গুজবের বিরুদ্ধে প্রচারের অস্ত্র করে তুললেন প্রসেনজিৎ।
সম্প্রতি প্লাস্টিকের ডিমের গুজবে রাজ্যের একাংশে চাঞ্চল্য ছ়ড়ায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ডিম নির্ভয়ে খাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যবাসীকে। প্রশাসনের তরফেও নানা জায়গায় সচেতনতা-প্রচার চালানো হয়েছে। তারই মধ্যে কালনার প্রসেনজিৎ ‘গুজব ছড়াবেন না’ বার্তা দিচ্ছেন ডিমের খোলায়।
কালনা আদালত লাগোয়া শ্যামগঞ্জপাড়ার বাসিন্দা, বছর পঁয়তিরিশের প্রসেনজিৎ দুর্গাপুরে এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী। ডিমের খোলায় কারুকাজ করে নানা রকম ছবি ফুটিয়ে তোলাই তাঁর নেশা। সূক্ষ্ম তুরপুন এবং ব্লেড দিয়ে গত চার বছরে প্রায় একশোরও বেশি এমন মডেল তৈরি করেছেন। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— ফুটিয়েছেন অনেকের ছবিই। একটি ডিমের খোলায় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিবেকানন্দ ও মহাত্মা গাঁধীর ছবি ফোটানোয় তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়েছে ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’-এ। পুরস্কৃত হয়েছেন রাজ্য স্তরেও।
সম্প্রতি কাটোয়ার এক বাসিন্দা প্রশাসনের কাছে ‘প্লাস্টিকের ডিম’ নিয়ে অভিযোগ করেন। প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য ডিম পরীক্ষা করে জানান, তা প্লাস্টিকের নয়। প্রসেনজিৎবাবু জানান, এই ধরনের নানা অভিযোগের কথা কানে আসায় অমূলক আতঙ্কের বিরুদ্ধে প্রচারের পরিকল্পনা করেন। তাঁর বাড়িতে শিল্পকর্মের প্রদর্শনী দেখতে আসেন অনেকে। সেখানেই ডিমের খোলায় লিখে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এখন দেখছি, অনেকে ডিম কিনতে চাইছেন না। সমস্যা থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তার আগে অযথা পাত থেকে ডিম যাতে বাদ না পড়ে, সে জন্যই এই চেষ্টা।’’ কর্তারা চাইলে প্রশাসনের প্রচারেও তিনি সামিল হতে রাজি বলে জানান প্রসেনজিৎবাবু। মহকুমাশাসক (কালনা) নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘ওঁর কাজ নিয়ে খোঁজ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy