নিজস্ব চিত্র।
এ যেন বাঞ্ছারামের বাগান। আম, কাঁঠাল, জাম, পেয়ারা, কুল, জামরুল-সহ দেশ-বিদেশে নানা প্রজাতির ফল-ফুলের চারা খুঁজে এনে বাড়ি লাগোয়া বিঘা খানেক জমিতে নিজের বাগান তৈরি করে ফেললেন ভাতারের দয়ালু শরিফ। সেই বাগান এখন এলাকায় ‘দয়ালুর বাগান’ নামেই পরিচিত।
বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবোনা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ দয়ালু শরীফ। পেশায় স্কুল শিক্ষক। ছোট থেকেই গাছ লাগানোর নেশা। বিভিন্ন রকম গাছের খোঁজ করতে করতে এখন এলাকায় তিনি ‘গাছপাগল’ নামেই পরিচিত দয়ালু। বাড়ির পাশে ৪৬ শতক জায়গায় ওই বাগান বানিয়েছেন তিনি। ২ শতক জমির উপর বসতবাড়ি আর ৬ শতকের একটি পুকুর। তার চারপাশ ঘিরেই ওই বাগান। তাতে রয়েছে ৩১ প্রজাতির আমগাছ, ১০ প্রজাতির কাঁঠাল, জাম, পেয়ারা, কুল, জামরুল, কলা, পেঁপে, নারকেল, লেবু-সহ প্রায় কয়েকশো প্রজাতির গাছ। রয়েছে মালয়েশিয়ার জাতীয় ফল রাম্বুটান, জাপানের জাতীয় ফল পার্সিমন, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় ফল ডুরিয়নের গাছও।
দয়ালু শরীফ বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই আমার গাছ লাগানোর নেশা। খেলার ছলে গাছ লাগাতে লাগাতে নিজের আঙিনা বাগানে পরিণত হয়েছে। নতুন প্রজাতির গাছের সন্ধান পেলেই সেখান থেকে চারা গাছ সংগ্রহ করি। আগামী দিনে যে সব প্রজাতির গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে, সেই সমস্ত গাছ লাগিয়ে আরও বড় আকারের বাগান তৈরির চিন্তাভাবনা রয়েছে। শিক্ষকতার ফাঁকে পরিবারকে নিয়ে এই গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করে থাকি। পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য সবার অন্তত একটি গাছ লাগানো জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy