জখম কাবেরী মুখোপাধ্যায় ও (ডান দিকে) সুজিত মুখোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।
একশো দিনের কাজে পক্ষপাতিত্ব ও স্বজনপোষণের অভিযোগে গোলমাল বাধল তৃণমূল এবং সিপিএম, এসইউসিআইয়ের মধ্যে। বৃহস্পতিবার ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার বাঁশিয়া গ্রামের ঘটনা।
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েক দিন আগে থেকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে একশো দিনের কাজের সুপারভাইজার নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই শাসক-বিরোধীদের মধ্যে সমস্যা চলছিল। এসইউসি-র নেতা জিতেন মণ্ডলের দাবি, সম্প্রতি উভয় পক্ষ বসে ঠিক হয়, তৃণমূলের দু’জন ও বিরোধীদের তিন জন সুপারভাইজার থাকবেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই তিন জনকে কোনও কারণ ছাড়াই সরিয়ে দিয়ে নিজেদের লোক নেওয়ার জন্য প্রশাসনের উপরে চাপ দিচ্ছে তৃণমূল। এ ছাড়া একশো দিনের প্রকল্পে বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে তৃণমূল সমর্থক-কর্মীদের।
বুধবার বিডিও-র হস্তক্ষেপে সাময়িক ভাবে সমস্যা মেটে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নাচন থেকে বাঁশিয়া যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করেন সিপিএম ও এসইউসি-র নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরে পুলিশ গিয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অবরোধ তোলে। অভিযোগ, এরপরেই তৃণমূলের লোকজন গ্রামে ঢুকে অবরোধকারীদের বাড়ি বাড়ি চড়াও হন। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনের ছোড়া ইট-পাটকেলে বেশ কয়েকটি বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে যায়। জখম হন বেশ কয়েক জন। কাবেরী মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, দলের নেতারা অশান্তি মেটাতে গেলে আচমকা আক্রমণ করা হয়। মাথায় চোট পান তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁকে দুর্গাপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সুজিতবাবুর দাবি, ‘‘হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, গোলমালের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই মহিলা-সহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy