Advertisement
০৩ মে ২০২৪

দলের নেতায় ক্ষোভ, দেখে গেলেন অরূপ

পুরভোটের আগে শহরে জনসংযোগে বেরিয়ে দলের স্থানীয় নেতা ও কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে বাসিন্দাদের ক্ষোভের আঁচ পেলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

বেনাচিতিতে মন্ত্রীকে দাবিদাওয়া জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র।

বেনাচিতিতে মন্ত্রীকে দাবিদাওয়া জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৩০
Share: Save:

পুরভোটের আগে শহরে জনসংযোগে বেরিয়ে দলের স্থানীয় নেতা ও কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে বাসিন্দাদের ক্ষোভের আঁচ পেলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কোথাও পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মানুষজন। কোথাও আবার নিয়োগের দাবি উঠল। অরূপবাবু বলেন, ‘‘মানুষের কথা শুনতে এসেছিলাম। সবাই মন খুলে কথা বলেছেন।’’

রবিবার সিধো-কানহু স্টেডিয়ামে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন অরূপবাবু। পুরভোটের আগে দলের ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়া হচ্ছে বলে বৈঠকের পরে জানান তিনি। সন্ধ্যায় শহরের কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেন অরূপবাবু। তৃণমূল সূত্রের দাবি, অন্তত ১৩টি আসনে এখনকার কাউন্সিলরদের আর প্রার্থী করা হবে না বলে দলের অন্দরে ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলা পর্যবেক্ষক। তার মধ্যে কিছু মেয়র পারিষদও রয়েছেন। বৈঠকে অরূপবাবু নানা নেতার সম্পত্তি নিয়েও খোঁজ নেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

গত বিধানসভা ভোটে দুর্গাপুরের দু’টি আসনই হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। দুর্গাপুর পশ্চিমে দলের প্রার্থী তথা শহরের মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বড় ব্যবধানে হারার পরে দলেরই একাংশ জন সংযোগের অভাবের অভিযোগ তোলে। রবিবারের বৈঠকে অপূর্ববাবু ছিলেন না। তবে অরূপবাবু জানান, অসুস্থতার কারণে আসতে পারছেন না, তা মেয়র আগেই জানিয়েছেন। দুর্গাপুরের সংগঠন পরিচালনায় ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েক জন নেতাকে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেন অরূপবাবু।

এ দিন শহরের মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতে অরূপবাবু প্রথমে যান বেনাচিতিতে। মহিষ্কাপুর রোডে বাসিন্দারা নাগরিক পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ করেন। কেউ বলেন, ‘‘নর্দমা পরিষ্কার হচ্ছে না।’’ কেউ বলেন, ‘‘রেশন কার্ড মিলছে না। কাউন্সিলরকে বলেও ফল হয়নি।’’ সেখানে বাসিন্দাদের ক্ষোভ সামাল দিয়ে অরূপবাবু রওনা হন সগড়ভাঙ্গায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নারায়ণ মণ্ডলকে জেলা কমিটিতে আনার কথা ঘোষণা করেন। সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করার নির্দেশও দেন।

এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, স্থানীয় কারখানায় কাজ দেওয়ার নামে নারায়ণবাবু টাকা নেন। নানা ভাবে দলের নাম ভাঙিয়ে তিনি রোজগার করেন। এক মহিলা দাবি করেন, ‘‘আমার ছেলে বেকার। নারায়ণ মণ্ডল টাকা নিয়ে কারখানায় কাজ দেয়। আমরা কোথায় টাকা পাব?’’ আর এক মহিলার অভিযোগ, ‘‘কাজ চাইতে গিয়ে দুর্ব্যবহার পেয়েছি। তাঁকে নেতা করা আমরা মানি না।’’ অরূপবাবু অভিযোগ খতিয়ে দেখা ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যাতে কাজ দেওয়া হয়, সেই নির্দেশ দেওয়ার আশ্বাস দেন।

নারায়ণবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমি অনেককেই কাজে ঢুকিয়েছি। সবারই কাজ দরকার। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arup Biswas Durgapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE