সীতাভোগ, মিহিদানা, ল্যাংচা ঠাঁই পেয়েছিল আগেই। এ বছরের ‘আহারে বাংলা’ উৎসবে ঠাঁই পেল বর্ধমানের আরও দুই মিষ্টি। ২১ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতার মিলনমেলা প্রাঙ্গণে ওই মেলায় কাটোয়ার পরানের পান্তুয়া ও কালনার নোড়া পান্তুয়ারও স্বাদও এ বার পাবেন খাদ্য রসিকেরা।
রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতর মেলার আয়োজন করেছে। দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, এই দুই মিষ্টির ভালই কদর রয়েছে জেলায়। তবে প্রচারের অভাব ছিল। এ বার আহারে বাংলার প্ল্যাটফর্ম সে বদনাম ঘোচাবে। কিন্তু পান্তুয়া তো খুবই চেনা মিষ্টি। তাহলে পরানের পান্তুয়া বা নোড়া পান্তুয়ার বিশেষত্ব কী?
জানা যায়, দেশভাগের কিছুটা আগে ও পার বাংলা থেকে কাটোয়ায় এসে বসবাস শুরু করেন সুরেন্দ্রলাল কুণ্ডু। ছেলে প্রাণকৃষ্ণ ওরফে পরানকে নিয়ে ছোট্ট একটি দোকানে কলাইয়ের ডালের অমৃতি এবং মুরুলি ভাজা বিক্রি করে সংসার চালাতে শুরু করেন তিনি। সেই দোকানেই প্রাণকৃষ্ণবাবুর হাতে পরে তৈরি হয় ক্ষীরের পুর দেওয়া পান্তুয়া। নাম হয় ‘পরানের পান্তুয়া’। পরানবাবুর উত্তরসূরীদের দাবি, এই মিষ্টি খেয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে গায়িক সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আরতি বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা শক্তি ঠাকুর, রবি ঘোষেরাও প্রশংসা করে গিয়েছেন। বর্তমানে কাটোয়া শহরের বারোয়ারি তলায় রয়েছে এই মিষ্টির দোকানের দেখাশোনা করেন পরানবাবুর দুই ভাইপো তপন কুণ্ডু এবং সমরেশ কুণ্ডু।