Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে ভুল রক্ত শিশুকে, অভিযোগ কাটোয়ায়

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে ভুল রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ভুল রক্ত দেওয়ার সময় তা খেয়াল করে শিশুটির পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০০:০০

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে ভুল রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ভুল রক্ত দেওয়ার সময় তা খেয়াল করে শিশুটির পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গেই ওই রক্ত খুলে নিয়ে শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখে। তবে এই ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নিতে আসেন মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানার নারকেলবাড়ির রেহেনা বিবি। তাঁর বছর তিনেকের নাতি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। শিশুটির বাবা শের খানের অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে এসে পৌঁছনোর আগেই ব্লাড ব্যাঙ্কে পরীক্ষা করার পরে দুপুর দুটো নাগাদ ‘এ পজিটিভ’ গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয় ছেলেকে। ঘন্টাখানেক পরে তিনি এসে লক্ষ্য করেন, রক্তের পাউচের গায়ে লেখা ‘এ পজিটিভ’, অথচ শিশুটির প্রয়োজন ছিল ‘ও পজিটিভ’ গ্রুপের রক্ত। ততক্ষণে পাউচের মধ্যে থাকা রক্তের ৭৫ শতাংশ ছেলের শরীরে চলে যায় বলেও তাঁদের দাবি। বছর চব্বিশের শের খান বলেন, ‘‘ছেলের মূত্র দিয়ে রক্তপাত শুরু হয়। তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে রীতিমতো কাতরাচ্ছিল ও। ভুল গ্রুপের রক্ত দেওয়ার বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত নার্সদের জানালে তাঁরা অস্বীকার করেন।’’ শিশুটির মা ইসমাতুন বিবির অভিযোগ, ‘‘ছেলেকে আগেও চার বার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে গিয়ে রক্ত দেওয়া হয়েছে। ওখানে এ বার ‘ও পজিটিভ’ রক্ত না পাওয়ায় কাটোয়া হাসপাতালে এসে বিপত্তি বাধল।’’ রাতেই হাসপাতাল সুপারকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানান তাঁরা। আপাতত ওই হাসপাতালেরই এক শিশু চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা চলছে তোয়েবের। ডাক্তার জানিয়েছেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথম বার রক্তের গ্রুপ নির্ণেয়ে ‘এ পজিটিভ’ ও দ্বিতীয় বার ‘ও পজিটিভ’ পাওয়া যায়। হাসপাতাল সুপার রতন শাসমল বলেন, ‘‘রক্তের কোষ ভাঙছে কি না দেখতে মূত্র পরীক্ষা জরুরি। শিশুটির মূত্র পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। রক্তের গ্রুপ সঠিক ভাবে নির্ণয় হওয়ার পরেই শিশুটিকে রক্ত দেওয়া হবে।’’

হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বাণীব্রত আচার্য বলেন, ‘‘শিশুটির রক্তে হিমোগ্লোবিন খুবই কম ছিল। চোখে দেখে ক্রশচেকিং হয়। তাই হয়তো ভুল হয়েছে।’’ ৩০০ মিলিলিটারের রক্তের প্যাকেটের মধ্যে ৭০ মিলিলিটারই শিশুটির শরীরে ঢুকেছিল বলে তাঁর দাবি। তবে ঠিক সময়ে বিষয়টি লক্ষ্য না করলে এই ‘গাফিলতি’ শিশুটির ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হতে পারত বলে মানছেন সুপার রতন শাসমল।

Medical Health Child Health Blood Bank Katwa
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy