প্রতীকী ছবি।
তিন-চার বছর ধরে হিমঘরে আলু রেখে লোকসানের মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। পাশের জেলা থেকে ভিন্ রাজ্য, আলু বিক্রি করতে গিয়ে সর্বত্র সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের ব্যবসায়ীদের। আলুর গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশের আলু বাজার ধরে নিচ্ছে। এমন উভয়সঙ্কট কাটাতে ‘আলু চাষি, সংরক্ষণকারী ও ব্যবসায়ীদের প্রতি’ উন্নতমানের আলু চাষ ও গুণগত মান দেখে আলু প্যাকেটজাত করার আবেদন জানিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সুনীল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘প্রতি বছরই আলুর ব্যবসা সঙ্কটের মুখে পড়ছে। নির্দিষ্ট সময়ের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে আলু বাজারজাত করা যাচ্ছে না। গুণগত মানের জন্য আলু বাইরের রাজ্যে বিক্রি করা যাচ্ছে না। এ বছর এক মাস সময় বাড়ালেও আলু বাজারে পাঠানো নিয়ে সংশয় রয়েছে। চলতি মরসুম থেকে আলু নিয়ে যাতে মুশকিলে পড়তে না হয়, সে কারণে সকলকে সচেতন করা হচ্ছে।’’
পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই সংগঠনের প্রায় তিন হাজার সদস্য রয়েছেন। তার বাইরেও চাষিদের একটি বড় অংশ হিমঘরে আলু মজুত রাখেন। এ ছাড়া অনেকে খোলা বাজারে আলু কিনে লাভের আশায় হিমঘরে মজুত রাখেন। ৫০ কেজির বস্তা পিছু ২০০-৩০০ টাকা লোকসান হওয়ায় মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। হিমঘর মালিকদের একাংশের মতে, ঠেকে শিখে ব্যবসায়ীরা মান নিয়ে চাষিদের সচেতন করছেন।
লিফলেটে লেখা রয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে কয়েকটি এলাকায় আলুর গুণমান খারাপ হওয়ায় তা বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে। কালনার বুলবুলিতলা, মেমারির বোহার, বৈঁচি এলাকার আলুর মান বেশ খারাপ থাকায় বাজারদরের চেয়ে কম দামে আলু বিক্রি করতে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হচ্ছেন। ফলে, চাষি থেকে ব্যবসায়ী সকলেই ক্ষতির মুখে পড়ছেন। প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, রাজ্যস্তরে আলোচনায় উঠে এসেছে, পূর্ব বর্ধমানের চেয়ে হুগলি, মেদিনীপুর এমনকি বাঁকুড়ার আলুর গুণমান ভাল। পূর্ব বর্ধমানের ভাল আলু হুগলির সিঙ্গুর ও রতনপুরের হিমঘরে মজুত করা হচ্ছে।
প্রচারপত্রে জানানো হয়েছে, চাষের সময় জমিতে আলু বসানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। তা মানা উচিত। আলু-বীজ ঘন করে বসানো উচিত নয়। বেশি রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে আলুতে কালো দাগ দেখা দেয়। সময়ের আগে গাছ তুলে নিলে আলুর মান খারাপ হয়। সুনীলবাবু বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের বলছি, খেত থেকেই আলু বাছাই করে প্যাকেটজাত করা প্রয়োজন।’’ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে এ রকম প্রচারপত্র ছড়াব ঠিক করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy