Advertisement
E-Paper

বেতন না পেয়ে কাজ বন্ধ, শহর জঞ্জালময়

বাজারের থলে হাতে ফিরছিলেন বছর ষাটের প্রবোধ দাস। রাস্তায় পড়ে থাকা আবর্জনার গন্ধে সদ্য কেনা ইলিশও যেন স্বাদ হারাল। এ দিকে, ব্যাগ নিয়ে স্টেশন যাওয়ার সময় আবর্জনায় জমা প্লাস্টিকে পিছলে কোনওক্রমে পড়তে পড়তে বাঁচলেন গৃহবধূ স্বপ্না পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৬ ০০:০০

বাজারের থলে হাতে ফিরছিলেন বছর ষাটের প্রবোধ দাস। রাস্তায় পড়ে থাকা আবর্জনার গন্ধে সদ্য কেনা ইলিশও যেন স্বাদ হারাল।

এ দিকে, ব্যাগ নিয়ে স্টেশন যাওয়ার সময় আবর্জনায় জমা প্লাস্টিকে পিছলে কোনওক্রমে পড়তে পড়তে বাঁচলেন গৃহবধূ স্বপ্না পাল।

দাঁইহাটের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, দিনতিনেক ধরে পরিষ্কার না হওয়ায় শহরে হাঁটাচলায় দায়।

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, মাসের ২১ তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বেতন পাননি ৭৪ জন সাফাইকর্মী। পুরসভার বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ দেখানোর পরেও সুরাহা না হওয়ায় দিন তিনেক ধরে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। ফলে গত শুক্রবার থেকে শহর জুড়ে ছড়িয়ে জঞ্জালের স্তূপ। ঘুরেও দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি জঞ্জাল জমে রয়েছে দাঁইহাট বাজার এলাকায়। একেই বাজারের নোংরা, তার সঙ্গে বৃষ্টির জলে দুর্গন্ধে ভরেছে এলাকা। একই অবস্থা স্টেশন বাজার, সুভাষ রোড চত্বরেও। স্থানীয় চপ বিক্রেতা প্রভাত দাসের অভিযোগ, ‘‘দোকানের সামনে স্তূপাকারে সব্জির খোসা, মাছের আঁশ পড়ে রয়েছে। বৃষ্টি-বাদলার দিনেও দোকানে আসছেন না ক্রেতারা।’’ একই অভিযোগ ব্যবসায়ী বিশু দাস, সনৎ কয়াল, গৌতম মণ্ডলদেরও। দাঁইহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তুষার ভট্টাচার্জের দাবি, ‘‘মাসছয়েক ধরে প্রতিমাসেই সাফাইকর্মীদের বেতন পেতে দেরি হচ্ছে। আর তারা কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে। ফল ভুগছেন শহরের মানুষজন।’’ সাফাইকর্মী গোবিন্দ হরিজন, বিশু কাদরদের পাল্টা দাবি, ‘‘সমস্যা হবে জানি। কিন্তু বেতন না পেলে আমাদেরই বা চলবে কীভাবে। তাই কাজ বন্ধ করেছি।’’

যদিও বাসিন্দাদের সমস্যা কবে মিটবে, বা সাফাইকর্মীরা বেতন পাবেন কবে, কোনও উত্তরই দিতে চাননি পুরপ্রধান বিদ্যুৎবরণ ভক্ত।

Cleaning staff Problem
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy