Advertisement
E-Paper

সংক্রমিত রোগীর খবর মিলছে না, দাবি আত্মীয়দের

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরে, বর্ধমানের এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২১ ০৬:১৮
বর্ধমান মেডিক্যালে চলছে বিক্ষোভ।

বর্ধমান মেডিক্যালে চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

রোগীর হালহকিকত জানতে পারছেন না কেউ। কারও অভিযোগ, অক্সিজেন মাস্ক, স্যালাইন লাগানোর কাজ ঠিকমতো করছেন না নার্সেরা। শুক্রবার এমনই নানা অভিযোগ জানাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের অফিসে হাজির হন রোগীর পরিজনেরা।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরে, বর্ধমানের এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। পরিস্থিতি সামলাতে রাধারানি ওয়ার্ডটিকে ‘কোভিড-ওয়ার্ড’ করে দেওয়া হয়েছে। ১৬০ শয্যার ‘সারি’ ওয়ার্ড এবং ১৬০ শয্যার ‘নন-কোভিড সারি ওয়ার্ড’ও চলছে। কিন্তু পরিকাঠামো থাকলেও পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনেদের একাংশের। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ প্রায় জনা কুড়ি লোক হঠাৎ হাজির হন হাসপাতাল সুপারের অফিসে। একের পরে এক অভিযোগ জানাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সুপার তাঁদের কাছে সময় চেয়েছেন, বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য।

কী কী অভিযোগ?

আসানসোলের এক রোগীর পরিজনের দাবি, বৃহস্পতিবার রোগীকে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তিনি। ওই ওয়ার্ডে বাইরের কাউকে থাকতে দেওয়া উচিত নয়, কিন্তু তাঁকে রোগীর সঙ্গে থাকতে বলা হয় বলে অভিযোগ। এ দিন সকালে রোগীর খোঁজ নিতে গেলে, তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। ‘রোগীর সঙ্গে না থাকলে, তাঁর সম্পর্কে জানতে চাওয়ার অধিকার নেই’ , এমন কথাও বলা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। মেমারির এক মহিলাও কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তাঁর ছেলের অভিযোগ, ‘‘মায়ের অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছে। কিন্তু কতখানি নেমেছে, অক্সিজেন দিতে হবে কি না, সে বিষয়ে কোনও তথ্যই পাচ্ছি না।’’ রোগীর হাতের স্যালাইনের চ্যানেল খোলা, অক্সিজেন মাস্ক খোলা বা লাগানো কিছুই নার্সেরা করছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। কাটোয়ার এক রোগীর পরিজনদেরও দাবি, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক রাউন্ডে আসছেন না। কথা বলতে গেলে রক্ষীরা খারাপ ব্যবহার করছেন। এর সঙ্গেই কোভিড ওয়ার্ডে রোগীর দেহ বহু ক্ষণ পড়ে থাকছে বলেও অভিযোগ করেছেন বীরভূমের নানুরের এক পরিবার।

তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে কোভিড ওয়ার্ডে এক রোগী মারা যান। রাতভর দেহের সঙ্গে থাকতে হওয়ার প্রভাব রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যেও পড়ছে বলে দাবি তাঁদের। আবার এক শয্যায় দু’জন করে রোগী রাখারও অভিযোগ উঠেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিড রোগীদের দাহ করার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা। রাতে তা নিয়ে যাওয়া হয়। এক জনকে দাহ করে অন্য দেহ সরাতে গিয়ে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে বলেও দাবি কর্তৃপক্ষের। ডেপুটি সুপার কুণালকান্তি দে বলেন, ‘‘রোগীর পরিজনদের অভিযোগ শুনেছি। চরম পরিস্থিতিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে হচ্ছে। আমরা আলোচনা করেছি। যাতে পরিষেবায় বিঘ্ন না হয় সেই দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।’’ রোগীর পরিজন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার অনুরোধ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

COVID-19 coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy