Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

কাজের জন্য ছাড় পেয়ে স্বস্তিতে বিড়ি শ্রমিকেরা

কাটোয়া শহরে প্রায় হাজার পাঁচেক বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন।

‘কাছাকাছি’ বসেই কাজ শুরু। কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র

‘কাছাকাছি’ বসেই কাজ শুরু। কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ০২:৪৬
Share: Save:

গত পনেরো দিন ধরে হাত গুটিয়ে বাড়িতে বসেছিলেন কাটোয়ার বিড়ি শ্রমিকেরা। কাজ না থাকায় জমানো টাকাও ফুরিয়ে আসছিল। চাল, ডাল, আনাজ কিনতেও হিসেব কষতে হচ্ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিড়ি শ্রমিকদের কাজে কিছুটা ছাড় দেওয়ায় খানিকটা স্বস্তিতে তাঁরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার কথাও বলা হয়েছে।

শুক্রবার কাটোয়া বিড়ি শ্রমিক ভবনে অনেকটাই খুশির হাওয়া। ‘লকডাউন’-এর মাঝে বাড়ি বসে বিড়ি বাঁধা যাবে জেনে, স্বস্তিতে রূপা বিবি, কহোনা বিবিরা।

কাটোয়া শহরে প্রায় হাজার পাঁচেক বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। কেউ সমিতির মাধ্যমে বিড়ি তৈরি করেন। কেউ মালিকের কাছ থেকে কেন্দুপাতা, মশলা ও সুতো নিয়ে এসে বাড়িতে বিড়ি বাঁধেন। শ্রমিকদের একটা বড় অংশই মহিলা। হেঁশেল, সংসারের কাজ সামলে প্রতিদিন সাতশো থেকে হাজারখানেক বিড়ি তৈরি করেন তাঁরা। প্রতিদিন গড়ে দেড়শো থেকে ১৭০ টাকা রোজগার হয়।

বিড়ি শ্রমিক রূপা বিবি, কহোনা বিবিরা বলেন, ‘‘অভাবের সংসারে হাল ধরতে বাড়িতে বসেই বিড়ি বেঁধে মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা রোজগার করতাম। কিন্তু লকডাউনের জন্য সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মু্খ্যমন্ত্রী আমাদের কাজে কিছুটা ছাড় দেওয়ায় খুবই উপকার হয়েছে।’’ কাটোয়া বিড়ি শ্রমিক ভবনের সম্পাদক সাধন দাস বলেন, ‘‘শুধু আমাদের সমিতিতেই শ’পাঁচেক শ্রমিক কাজ করেন। খুবই সমস্যায় পড়েছিলাম। নতুন করে কাজ শুরু করতে পারায় ভরসা পাচ্ছি।’’ সবাই সতর্ক হয়ে কাজ করবেন বলেও তাঁর আশ্বাস।

কাটোয়ার পুরপ্রধান তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘ওঁরা প্রয়োজনীয় জিনিস এনে বাড়িতে বসেই কাজ করবেন। ফলে, জমায়েতের সম্ভাবনা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার কথা বলে হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Covid-19 Biri Beedi Katwa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE