Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪

দামোদরে ভরসা সাঁকো, সেতুর দাবি

এক প্রান্তে পূর্ব বর্ধমানের বড়শূল, শক্তিগড়। অন্য প্রান্তে জামালপুরের শম্ভুপুর, জামুদহ, হরিপুর, বোরোর মতো অসংখ্য গ্রাম। মাঝে দামোদর। এই দুই জনপদের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করতে কংক্রিটের সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের।

জয়ন্ত বিশ্বাস
মেমারি শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৮
Share: Save:

এক প্রান্তে পূর্ব বর্ধমানের বড়শূল, শক্তিগড়। অন্য প্রান্তে জামালপুরের শম্ভুপুর, জামুদহ, হরিপুর, বোরোর মতো অসংখ্য গ্রাম। মাঝে দামোদর। এই দুই জনপদের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করতে কংক্রিটের সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে বহু আবেদন, নিবেদনের পরেও সেতু না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ জমছে।

দুই প্রান্তের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সেতু না থাকায় নানা রকমের সমস্যায় পড়তে হয়। ভরা বর্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হয়। নদীর জল শুকিয়ে গেলে অস্থায়ী সাঁকো গড়ে যাতায়াত করতে হয়। ফেরিঘাটের অংশীদার অমিত ঘোষ বলেন, ‘‘ঘাট দিয়ে ফি-দিন ৭ থেকে ৮ হাজার মানুষ পারাপার করেন।’’ ভুক্তভোগীদের কথায়, পাকা সেতু তৈরি হলে বাঁকুড়া, আরামবাগ, রায়না প্রভৃতি এলাকার সঙ্গে জাতীয় সড়ক ২, শক্তিগড় স্টেশন মাধ্যমে কলকাতা, আসানসোল-সহ বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের সুবিধা হত।

জামুদহ গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর সাধু বলেন, ‘‘পাকা সেতু তৈরি হলে পূর্ব বর্ধমান এবং উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হত। দিনে দু’তিনবার নদী পেরিয়ে কাজের জন্যে যেতে হয়।’’ শম্ভুপুরের বাসিন্দা প্রদীপ দে বলেন, ‘‘পাকা সেতু হলে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।’’ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সবচেয়ে সমস্যা হয় রাতবিরেতে। কেউ অসুস্থ হলে তো কথাই নেই। সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা মেনেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি বলেন, ‘‘দামোদরের দুই প্রান্তের বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে পাকা সেতু তৈরির বিষয়টি জেলা পরিষদের ভাবনা চিন্তার মধ্যে রয়েছে। রাজ্য প্ল্যানিং কমিটিতে এই বিষয়ে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।’’ প্ল্যানিং কমিটির অনুমোদন পেলে সেতুর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে বলে তাঁর আশ্বাস।

অন্য বিষয়গুলি:

Culvert Damodar Bridge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE