Advertisement
১৮ মে ২০২৪

পরিষেবার নামে নালিশ প্রতারণার

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে কালনার এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ধাত্রীগ্রামে ওই ব্যাঙ্কের শাখায় ১৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে কৃষ্ণদেবপুর এলাকার বাসিন্দা জয় মুখোপাধ্যায় নামে ওই যুবকের নামে। অভিযোগ পেয়ে নড়ে বসেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

কালনার কৃষ্ণদেবপুরের এই কেন্দ্র থেকেই চলত প্রতারণা। নিজস্ব চিত্র

কালনার কৃষ্ণদেবপুরের এই কেন্দ্র থেকেই চলত প্রতারণা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৭ ০১:২২
Share: Save:

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে কালনার এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ধাত্রীগ্রামে ওই ব্যাঙ্কের শাখায় ১৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে কৃষ্ণদেবপুর এলাকার বাসিন্দা জয় মুখোপাধ্যায় নামে ওই যুবকের নামে। অভিযোগ পেয়ে নড়ে বসেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

ব্যাঙ্কের দাবি, কাছাকাছি শাখা না থাকলে গ্রাহকদের হয়রানি রুখতে পরিষেবা কেন্দ্র খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এই কেন্দ্রে পাসবই খোলা থেকে শুরু করে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেনের সুযোগ দেওয়া হয়। জয়বাবু এই কেন্দ্রটি খোলার অনুমতি পান বছর দুয়েক আগে। কৃষ্ণদেবপুর ও হাটকালনার দুশোরও বেশি গ্রাহকও রয়েছে এই কেন্দ্রে। তাঁদের বেশির ভাগই টাকার লেনদেন করতেন। টাকা জমা বা তোলার অঙ্ক একটি পাসবইয়ে লিখে দেওয়া হতো। সম্প্রতি কৃষ্ণদেবপুর এলাকার এক গ্রাহক দশ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন জমা অঙ্কের থেকে অনেক কম টাকা রয়েছে অ্যাকাউন্টে। বিষয়টি জানাজানি হতে অনেকেই ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন তাঁদের ক্ষেত্রেও গোলমাল হয়েছে। গ্রাহকদের দাবি, এরপরেই এসটিকেকে রোডের পাশে কৃষ্ণদেবপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন সেটি তালা বন্ধ। কিছুটা দূরে জয়বাবুর বাড়ি গিয়ে জানা যায়, সোমবার থেকে বাড়িছাড়া তিনি। এরপরেই ব্যাঙ্কে পরপর অভিযোগ জমা পড়তে থাকে।

কৃষ্ণদেবপুর রাজবংশীপাড়ার বাসিন্দা নারায়ণ সরকারের অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্র থেকে পাসবইয়ে লিখে দেওয়া হয়েছে আমার গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৫৬,৪৯২ টাকা। অথচ ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখি রয়েছে মাত্র ১৮ হাজার টাকা।’’ মধ্যপালপাড়ার এক বাসিন্দার দাবি, তাঁর অ্যাকাউন্টে থাকার কথা ৪,০০০ টাকা। অথচ রয়েছে ১,০২১ টাকা। গ্রাহকদের নালিশ, ছলেবলে অনেকেরই পাসবই নিজের কাছে রেখে দিতেন বছর তেত্রিশের জয়। কৃষ্ণদেবপুরের ষষ্ঠীতলা এলাকার শ্রীনাথ বারুইয়ের বক্তব্য, ‘‘আমার পাসবই ওর কাছে থাকত। এখন জানছি ৫০ হাজার টাকা কম রয়েছে।’’

ধাত্রীগ্রাম শাখার ব্যাঙ্ক ম্যনেজার সঞ্জয় নাগ বলেন, ‘‘কৃষ্ণদেবপুর এলাকার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রটি যিনি চালাতেন তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ মিলেছে। আমরা গ্রাহকদের অভিযোগগুলি ডাকযোগে জোনাল অফিসে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ আসবে সে মতো কাজ করা হবে।’’

এ দিন জয়বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলে তাঁর বৃদ্ধ বাবা কালীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের। তিনি জানান, ছেলে কাউকে কিছু না বলেই সোমবার থেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কালনা থানার দাবি, এ দিন দুপুরে জয়বাবুর স্ত্রী পিয়ালিদেবী স্বামীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

State-owned banks Kalna Fraud Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE