এলাকায় প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
জেলাশাসকের নির্দেশে ইসিএলের জামুড়িয়ার কেন্দা খোলামুখ খনি এলাকা পরিদর্শন করলেন দুই প্রতিনিধি। বৃহস্পতিবার আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের সমীক্ষক এবং জামুড়িয়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক প্রতিনিধি এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দায় খোলামুখ খনি চালু হওয়ার পরে নানা অভিযোগ ও দাবির ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা করেন অনল মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। হাইকোর্ট সেই মামলা সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালতে পাঠিয়েছে। পরিবেশ আদালত জেলাশাসককে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আদালতের কাছে রিপোর্ট দিতে বলেছে।
অনলবাবু জানান, তিনি যে সব অভিযোগে মামলা করেছেন তার মধ্যে রয়েছে, কয়েক জনের জমি দখল করে খনি চালানো, এলাকায় জলের বিকল্প ব্যবস্থা না করে চারটি পুকুরের জল বের করে খননকাজ করা, ডিজিএমএস-এর বিধি অনুযায়ী ব্যক্তিগত মালিকানার জমি থেকে ৪৫ মিটার দূরে খনি চালু না করা, জমির উপযুক্ত দাম না মেলা ইত্যাদি। এ দিন জেলাশাসকের পাঠানো প্রতিনিধিরা মামলাকারীকে সঙ্গে নিয়ে এলাকা ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন ‘কেন্দা গ্রামরক্ষা কমিটি’র সদস্যেরাও।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে হাইকোর্টের নিদের্শে জেলাশাসক নিজে এলাকায় এসে বিষয়গুলি নিরীক্ষণ করে গিয়েছিলেন। তার পরে তিনি হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেন। এর পরেই হাইকোর্ট মামলাটি জাতীয় পরিবেশ আদালতে পাঠায়। জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি এ দিন বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy