Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পড়েই রয়েছে খুঁটি-তার, বিদ্যুৎ আসেনি তিন গ্রামে

দীর্ঘদিন পরে গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা ও তার লাগানো দেখে বাসিন্দারা ভেবেছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়িতে আলো জ্বলবে। অনেকেই আলো, পাখা কিনেও ফেলেছিলেন। কিন্তু প্রায় দু’মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেবশালার পাথুড়িয়া, আমানিডাঙা, বাবলাবুনি গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ মেলেনি। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের আশ্বাস, গ্রামগুলিতে দ্রুত বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বদবুদ শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪০
Share: Save:

দীর্ঘদিন পরে গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা ও তার লাগানো দেখে বাসিন্দারা ভেবেছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়িতে আলো জ্বলবে। অনেকেই আলো, পাখা কিনেও ফেলেছিলেন। কিন্তু প্রায় দু’মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেবশালার পাথুড়িয়া, আমানিডাঙা, বাবলাবুনি গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ মেলেনি। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের আশ্বাস, গ্রামগুলিতে দ্রুত বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হবে।

আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামগুলির প্রতিটিতেই প্রায় ৩০টি পরিবারের বাস। পাথুড়িয়া গ্রামে রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। স্থানীয় বাসিন্দা সোম মুর্মু, মনসা হাঁসদারা জানান, বেশ কয়েক বছর আগে গ্রামে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে মাপজোক করে যান। কিন্তু তার পরে আর কাজ এগোয়নি। শেষ পর্যন্ত কয়েক মাস আগে গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা ও তার লাগানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী সোরেন, অনিল হেমব্রমরা জানান, তার লাগানো দেখে তাঁরা ভেবেছিলাম, দিন কয়েকের মধ্যেই বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ পাবেন। সেই মতো বাড়ির জন্য বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সামগ্রীও কেনা শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখনও অন্ধকারে ডুবে রয়েছে গ্রাম।

দেবশালার আমানিডাঙা গ্রামের বাসিন্দা সোম সোরেন, রবি মুর্মুরা জানান, বছর দশেক আগে এক বার বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়েছিল। লাগানো হয়েছিল তার। কিন্তু দীর্ঘদিন সংযোগ আসেনি। পরে ওই তারের অধিকাংশই চুরি হয়ে যায়। এবারও তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া না হলে ফের তারগুলি চুরি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।

দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সির দাবি, গ্রামগুলিতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছেন তিনি। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীব গাঁধী গ্রামীন বিদ্যুৎ যোজনা প্রকল্পে ওই গ্রামগুলিতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সেগুলি চালু করা হবে বলে দফতর সূত্রে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বেহাল রাস্তা। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে রাস্তা পাকা করা হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তা জোড়া তৈরি হয়েছে খন্দ। এমনই হাল গলসি ১ ব্লকের ভাসাপুল থেকে শিল্যাঘাট যাওয়ার রাস্তার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তার হাল বেশ কয়েক মাস ধরেই খারাপ। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তা প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যাতায়াত করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সাইকেল ও মোটরবাইক আরোহীরা। প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা। জেলা পরিষদের তরফে রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Electricity village
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE