গাড়ির গায়ে জমে ছাই। নিজস্ব চিত্র।
বাতাসে ছাই উড়ে বেড়াচ্ছে। জ্বালা করছে চোখ। নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকে কাশি শুরু হয়ে যাচ্ছে। দু’দিন ধরে এমন দূষণে জেরবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ও লাগোয়া এলাকার মানুষজন।দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল) থেকে এই ছাই বেরোচ্ছে। সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে পর্ষদ জানিয়েছে।
দুর্গাপুরে সরকারি-বেসরকারি নানা কারখানার বিরুদ্ধেই দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনে দূষণের মাত্রা কম থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই রাস্তা দিয়ে খালি চোখে হেঁটে বা মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়া যায় না। চোখ জ্বালা করে। রাতে দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হয়। সকালে বারান্দায় বা উঠোনে ছাইয়ের আস্তরণ নজরে পড়ে। দিনের বেলায় অধিকাংশ কারখানা দূষণ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র ব্যবহার করে। কিন্তু রাতে উৎপাদন খরচ বাঁচাতে সেই যন্ত্র খুলে দেওয়ার জন্যই দূষণ বাড়ে বলে অভিযোগ। বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন, পিগ আয়রন, ফেরো ম্যাঙ্গানিজ কারখানাগুলি তো বটেই, রাজ্য সরকারি সংস্থা ডিপিএল বা কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনও (ডিটিপিএস) দূষণ ছড়ানোর দায়ে পর্ষদের শাস্তির কবলে পড়েছে।
মঙ্গলবার প্রায় সারা দিন ধরেই বাতাসে অতিরিক্ত ছাইয়ের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন সিটি সেন্টার ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তার ধারে রাখা গাড়ি হোক বা বাড়ির বারান্দা, সর্বত্র ছাইয়ের আস্তরণ নজরে এসেছে। রাস্তায় বেরনো মানুষজনের চোখে ছাই ঢুকে জ্বালা শুরু হয়েছে অনেকের। অনেকে শ্বাসকষ্টের কবলে পড়েন। সিটি সেন্টারের বাসিন্দা বিপ্লব বসু বলেন, ‘‘সকালে বারান্দায় পা দেওয়া যাচ্ছে না। ছাই জমে থাকছে।’’
সিটি সেন্টারের কাছেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ডিপিএল। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত সেখান থেকে নির্গত ‘ফ্লাই অ্যাশ’ গত দু’দিন ধরে বাতাসে বেশি পরিমাণে ভেসে বেড়াচ্ছে। পর্ষদের দুর্গাপুর শাখার মুখ্য পরিবেশ বাস্তুকার অঞ্জন ফৌজদার জানান, ডিপিএলের সপ্তম ইউনিট চালুর কাজ চলছে। সে জন্য সমস্যা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মেটাতে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy