চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
কৃষিঋণ, বিদ্যুৎ বিল মকুব, বীজ-সার-কীটনাশকের মতো সামগ্রীতে ভর্তুকি-সহ সতেরো দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিল কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির কাটোয়া শাখা।
বুধবার মহকুমাশাসকের দফতরে কাটোয়া ও মঙ্গলকোটের শ’দুয়েক কৃষক জড়ো হন। তাঁদের অভিযোগ, নোট বাতিলের ফলে ধান বিক্রি করতে পারেননি অধিকাংশ কৃষক। তারপরেও রাজ্য সরকার শুধু ধানের সহায়ক মূল্য ঘোষণা করেই থেমে রয়েছে। অথচ মাঠে সবে আলু, সর্ষে লাগানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের বকেয়া বিল দিতে না পারায় বিনা নোটিসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কৃষি ক্ষেত্র ৫০ পয়সা ইউনিট দরে বিদ্যুৎ দিতে হবে। পর্যাপ্ত সেচের জল দেওয়ারও দাবি করেন তাঁরা। কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির জেলা সম্পাদক অনিরুদ্ধ কুন্ডুর দাবি, ‘‘অধিকাংশ কৃষকই ঋণ নিয়ে চাষ করেন। একেই তাঁরা ধান বিক্রি করতে পারছেন না, তার উপর বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানোর চাপে তাঁরা দিশেহারা।’’
গত সপ্তাহে এই দাবিগুলি নিয়েই দাঁইহাট বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ জানিয়েছিলেন পলসোনা, শ্রীবাটি এলাকার কৃষকেরা। এ দিনও সমস্ত কৃষকদের কিসান ক্রেডিট কার্ড প্রদান, শস্য বিমা ও পেনসনের আওতায় আনা, পঞ্চায়েত ও সমবায়গুলিতে শিবিরের আয়োজন করে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি নগদে ধান কেনা, কৃষি ঋণে ৪ শতাংশের বেশি সুদ না নেওয়ারও দাবি জানান তাঁরা।
দাবিগুলি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার আশ্বাস দিয়েছেন কাটোয়ার মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy