Advertisement
E-Paper

অভব্য আচরণে বরখাস্ত চার ছাত্র

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন শিক্ষকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র। পরে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, ওই চার ছাত্র মদ্যপ অবস্থায় শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে। এতে শুধু শিক্ষকদেরই নয়, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত ওই স্কুলেরও সম্মানহানি হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৫ ০১:৫৬

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন শিক্ষকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র। পরে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, ওই চার ছাত্র মদ্যপ অবস্থায় শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে। এতে শুধু শিক্ষকদেরই নয়, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত ওই স্কুলেরও সম্মানহানি হয়। সম্প্রতি ওই চার ছাত্রকে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করেছে স্কুল। গুসকরার পিপি ইনস্টিটিউশনের পরিচালন সমিতির সম্পাদক অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” প্রধান শিক্ষক প্রমথরঞ্জন মণ্ডলও বলেন, “স্কুলের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। শৃঙ্খলাভঙ্গকারী ছাত্রদের শাস্তি দেওয়া ছাড়া আর উপায় ছিল না।”

যেখানে শিক্ষকদের পড়ুয়াদের গায়ে হাত তোলায় নানা বিধিনিষেধ রয়েছে, অভিভাবকেরাও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা কারণে অতিরিক্ত মারধরের অভিযোগ করছেন সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবক থেকে শিক্ষানুরাগীরা। গুসকরা মাজিপাড়ার বাসিন্দা তপন মাজি, দোনাইপুরের গৌতম ঘোষেরা বলেন, “চারিদিকে যা ঘটছে, তাতে তো মনে হতো স্কুলে বোধহয় শৃঙ্খলা বলে কিছু আর নেই। সেখানে গুসকরা পিপি ইনস্টিটিউশন দৃষ্টান্ত তৈরি করল। এরপরে আর কোনও ছাত্র স্কুলের ভিতর অভব্য আচরণ করবে না।’’ স্থানীয় ক্ষেত্রপালতলার বাসিন্দা তিমিরবরণ চন্দ কিংবা দেবীপুরের বাসিন্দা মণিকা গোস্বামীরাও বলেন, “কয়েকজন ছাত্রের জন্য স্কুলের শৃঙ্খলা ভেঙে যাচ্ছিল। মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়তাম। কিন্তু শিক্ষকদের এ কাজে আমাদের মতো সাধারণ অভিভাবকদের মনে শান্তি আসবে।”

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ অগস্টের অনুষ্ঠান চলাকালীন ওই চার ছাত্র পড়ুয়াদের সামনেই শিক্ষকদের উদ্দেশে নানারকম অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। শিক্ষকেরা প্রতিবাদ করলে অশালীন আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী তাদের মুখ থেকে মদের গন্ধ পান। তখনকার মতো ছেড়ে দেওয়া হলেও ১৭ অগস্ট ওই চার ছাত্রের অভিভাবকদের ডেকে পাঠান প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি, “অভিভাবকরা বলেন, স্কুল যা শাস্তি দেবে ছেলেরা সেই শাস্তি মাথা পেতে নেবে।” এরপরেই বৈঠক ডেকে ঠিক হয়, ওই পড়ুয়াদের ইউনিট টেস্টে বসতে দেওয়া হবে না এবং সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। প্রধান শিক্ষক বলেন, “ছাত্র সুলভ আচরণ না করার জন্যই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো বিষয়টি আমরা পরিচালন সমিতিকে জানিয়েছি।”

Four students school indipendence day teacher
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy