Advertisement
E-Paper

উদ্যোগের অভাবেই বন্ধ ছাগল খামার, অভিযোগ

উদ্দেশ্য ছিল এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা। সে জন্য তৈরি করা হয়েছিল একটি ছাগল প্রজনন ও পালনকেন্দ্র। বছর খানেক ধরে চলেও ছিল। তার পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে কাঁকসার মলানদিঘি পঞ্চায়েতের রক্ষিতপুর গ্রামে তৈরি হওয়া ওই কেন্দ্র। বর্তমানে ফাঁকাই পড়ে রয়েছে ঘরগুলি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের কথা ভেবে এই কেন্দ্রটিকে নতুন করে চালু করা হোক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:২১
রক্ষিতপুরে ছাগল প্রজনন ও পালনকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

রক্ষিতপুরে ছাগল প্রজনন ও পালনকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

উদ্দেশ্য ছিল এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা। সে জন্য তৈরি করা হয়েছিল একটি ছাগল প্রজনন ও পালনকেন্দ্র। বছর খানেক ধরে চলেও ছিল। তার পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে কাঁকসার মলানদিঘি পঞ্চায়েতের রক্ষিতপুর গ্রামে তৈরি হওয়া ওই কেন্দ্র। বর্তমানে ফাঁকাই পড়ে রয়েছে ঘরগুলি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের কথা ভেবে এই কেন্দ্রটিকে নতুন করে চালু করা হোক।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ২০০৭ সালে রক্ষিতপুরে একটি পুকুরের পাড়ে তৈরি করা হয় ছাগলের এই খামার। এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা থেকে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সেখানে রয়েছে পাঁচটি ঘর রয়েছে। এই প্রকল্প চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় এলাকার একটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। কাঁকসা ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাগল পালন যেহেতু লাভজনক, তাই এই প্রকল্প বেছে নেওয়া হয়। পুকুরের পাড়ের একদিকে টিনের ছাউনির পাকা বাড়ি তৈরি করা হয়। চারদিকে লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এই প্রকল্প দেখভালের জন্য পাশে আরও একটি ঘর তৈরি করা হয়। এখানে মূলত ছাগল প্রজনন ও পালন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রায় এক বছর প্রকল্পটি চালু ছিল।

কিন্তু ধীরে ধীরে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, যে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী এটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল, তাদের উদ্যোগের অভাবের জন্য এটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়েছিল, সেটি ভেঙে যায়। তার পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দশ বছর ধরে ফাঁকাই পড়ে রয়েছে ঘরগুলি। ঘরগুলি এখন আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তুহিন ঘোষ, মিহির বাউরিরা জানান, ঘরগুলির বেশ কয়েকটির চাল উড়ে গিয়েছে। তাঁরা বলেন, ‘‘এই ঘরগুলি সংস্কার করে এখানে কোনও ভাল কাজে লাগানো হোক। যাতে এলাকার বেকারদের সুবিধা হয়।’’ স্থানীয় যুবক অজিত বাউরি, সুনীল বাউরিরা বলেন, ‘‘ঘরগুলির সামনেই একটি পুকুর রয়েছে। সরকারি ভাবে যদি এই জায়গায় কিছু করা যায়, তা হলে পুকুরে মাছ, হাঁস ও মুরগির চাষ করা যাবে। পাশাপাশি পুকুরের পাড়ে আনাজ চাষও করা যেতে পারে।’’ এ বিষয়ে বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি র কথা শুনেছি। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Self Help Group Goatery Women Empowerment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy