Advertisement
E-Paper

মেঘ সরে যেতেই ঢল নামল সেলের বাজারে

নববর্ষে পা দিতে আর মাত্র ক’টা দিন। তার আগে চৈত্রের শেষ সপ্তাহান্তে জমে উঠল সেলের বাজার। দুর্গাপুরের সমস্ত বাজারে কেনাকাটা চলেছে চরম ব্যস্ততায়। তিলধারণের জায়গা নেই। প্রথম পর্যায়ের সেলের বাজারে শহরবাসীর তেমন মন দেখা যায়নি। বাজারের ভিড় ছিল মাঝারি। বিক্রিবাটা প্রথমটায় তেমন ভাবে না হওয়ায় কপালে ভাঁজ ছিল অনেক বিক্রেতার।

অর্পিতা মজুমদার

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০২
রবিবার বেনাচিতির বাজারে বিশ্বনাথ মশানের তোলা ছবি।

রবিবার বেনাচিতির বাজারে বিশ্বনাথ মশানের তোলা ছবি।

নববর্ষে পা দিতে আর মাত্র ক’টা দিন। তার আগে চৈত্রের শেষ সপ্তাহান্তে জমে উঠল সেলের বাজার। দুর্গাপুরের সমস্ত বাজারে কেনাকাটা চলেছে চরম ব্যস্ততায়। তিলধারণের জায়গা নেই।

প্রথম পর্যায়ের সেলের বাজারে শহরবাসীর তেমন মন দেখা যায়নি। বাজারের ভিড় ছিল মাঝারি। বিক্রিবাটা প্রথমটায় তেমন ভাবে না হওয়ায় কপালে ভাঁজ ছিল অনেক বিক্রেতার। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেল শনিবার থেকে। এপ্রিলের মাঝামাঝি হলেও মাঝে-মধ্যে বৃষ্টির দেখা মেলায় আবহাওয়া এখনও তত তপ্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে গত দু’দিন ধরে ক্রেতা সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেলেন বিক্রেতাদের অনেকেই।

দুর্গাপুরের স্টেশন বাজার চওড়া রাস্তার দুপাশে। ওই রাস্তা দিয়েই অটো, রিকশা চলে। সেলের সময়ে এই শহর তো বটেই, পানাগড়, গলসি, বুদবুদ থেকেও দুর্গাপুরে বাজার করতে আসেন অনেকে। এ দিনও এসেছিলেন অনেকে। বড় দোকান হোক বা গলির ভিতরে ছোট দোকান, সব জায়গাই ছিল ভিড়ে ঠাসা। গাড়ি দাঁড় করানোর তেমন জায়গা না থাকায় পথচারীরা রীতিমতো বেগ পেয়েছেন। প্রায় একই দৃশ্য চোখে পড়েছে মামরা বাজার চত্বরে। তবে ভিড়ে কার্যত যানজটের চেহারা তৈরি হয় বেনাচিতি বাজারে। সপ্তাহের শেষ দুই দিনে সন্ধ্যার পরে প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বাজার এলাকা।

রবিবার বিকেলে হঠাৎ আকাশে মেঘ দেখা দেওয়ায় খানিকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতা, সকলেই। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ভ্রুকুটি সরে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সবাই। দ্রুত সাজগোজ করে বাজারের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন গৃহিণীরা। রাস্তায় বেরিয়ে অবশ্য খানিকটা নাজেহাল হতে হয়েছে ঠাসা ভিড়ে বাসে। বাজারে ঢোকার অনেকটা আগে নেমে পড়তেও বাধ্য হয়েছেন অনেকে। কারণ, বাস আর প্রায় এগোচ্ছিল না।

বাজার করতে এসেছিলেন সর্বাণী রায়, তৃপ্তি ঘোষ, পামেলা দত্ত, ইলোরা মিত্রেরা। কেউ সপরিবারে, কেউ বা বন্ধুদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, ভেবেছিলেন, গরম কম। শান্তিতে বাজার সারবেন। কিন্তু ভিড় দেখে চক্ষু চড়কগাছ। শেষমেশ বাজার করা হল। কিন্তু এ দোকান সে দোকান ঘুরে অনেক কিছু দেখেশুনে বেছে নেওয়া গেল না। কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই ফিরলেন তাঁরা। তবে এ সব নিয়ে ভাবার সময় নেই বিক্রেতাদের। শেষ বেলায় লক্ষ্মীলাভ হতেই মুখে হাসি তাঁদের।

Arpita Majumder Durgapur station road market Chaitra sell Benachity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy