Advertisement
E-Paper

শেষ হল না মিষ্টি বাংলা হাব

উদ্বোধনের দিন আগেই ঠিক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিনরাত জেগে কাজও চলছিল। তাতেও সময়ে শেষ হল না বর্ধমানের মিষ্টি বাংলা হাব।দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বামচাঁদাইপুরের ওই এলাকায় যেতেই দেখা যায়, বড় বড় লেখা রয়েছে ‘মিষ্টি হাব নির্মাণের পথে’।

সৌমেন দত্ত

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৪

উদ্বোধনের দিন আগেই ঠিক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিনরাত জেগে কাজও চলছিল। তাতেও সময়ে শেষ হল না বর্ধমানের মিষ্টি বাংলা হাব।

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বামচাঁদাইপুরের ওই এলাকায় যেতেই দেখা যায়, বড় বড় লেখা রয়েছে ‘মিষ্টি হাব নির্মাণের পথে’। তার পিছনে সাদা রঙের নতুন ভবনে কাজ করছেন কর্মীরা। বিদ্যুৎ সং‌যোগ থেকে মেঝে-দেওয়ালের চূড়ান্ত পালিশ সবটাই এখনও বাকি।

জানুয়ারিতে মাটি উৎসবে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৪ মার্চ উদ্বোধনের দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন। তার পরেও হল না কেন? জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডুর দাবি, “নবান্ন থেকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর জন্য উদ্বোধন করা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়।” সে কথা জানার পরেই ঢিলে হয়েছে কাজ। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের ধারণা, পয়লা বৈশাখ মিষ্টি হাবের উদ্বোধন হবে। হাবের মিস্ত্রিদেরও দাবি, কাজ শেষ হতে ন্যূনতম তিন সপ্তাহ লাগবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, সভাধিপতি ও সদ্য প্রাক্তন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন কয়েকদিন আগে যৌথ পরিদর্শনের পরে নবান্নে ১৪ মার্চ উদ্বোধন করা যেতে পারে বলে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু নবান্ন থেকে সে ব্যাপারে কোনও উত্তর আসেনি। তখনই ধরে নেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী ওই দিন উদ্বোধন করতে আসছেন না।

মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, হাবের প্রথম পর্যায়ে এক তলায় ১৭টি দোকান ঘর ও একটি বড় হল ঘর তৈরি হয়েছে। ওই সব দোকানের শাটার রং চলছে। বড় হলঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করছেন দুই কর্মী। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে হাবে যাওয়ার রাস্তাও তৈরি হয়নি। সবে বালি ফেলে রোলার টানা চলছে। এ দিন সভাধিপতির সঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায় হাবকে কী ভাবে সাজানো যায়, তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। ঠিক হয়েছে, বাংলার বিভিন্ন পার্বণের পটচিত্র তুলে ধরা হবে।

হাবটি তৈরি হচ্ছে ২৭ কাঠা জায়গার উপরে। প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দ করা হয়েছে ২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। ওই কাজ শেষের পরে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ২ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জমি বাছা নিয়ে গোলমাল হলেও বামচাঁদাইপুরের এই জমিতে কাজ চলছে প্রায় ছ’মাস ধরে।

Sweet Hub Higher Secondary
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy