Advertisement
১৭ মে ২০২৪

কৃষক সেতু বন্ধে ভোগান্তি

দামোদরের উপরে কৃষক সেতু পার হয়েই বর্ধমানে আসেন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া বা হুগলির লোকজন। আবার এ জেলার চারটি থানা এলাকার মানুষের ভরসাও এই সেতু। কিন্তু শুক্রবার থেকে সংস্কারের কাজে এই সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ফলে বর্ধমান-বাঁকুড়া, বর্ধমান-আরামবাগ, বর্ধমান-রায়না-সহ একাধিক রুটের বাস শহরে ঢুকতে পারছে না। মুশকিলে পড়ছেন বহু মানুষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৫ ০০:৩৫
Share: Save:

দামোদরের উপরে কৃষক সেতু পার হয়েই বর্ধমানে আসেন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া বা হুগলির লোকজন। আবার এ জেলার চারটি থানা এলাকার মানুষের ভরসাও এই সেতু। কিন্তু শুক্রবার থেকে সংস্কারের কাজে এই সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ফলে বর্ধমান-বাঁকুড়া, বর্ধমান-আরামবাগ, বর্ধমান-রায়না-সহ একাধিক রুটের বাস শহরে ঢুকতে পারছে না। মুশকিলে পড়ছেন বহু মানুষ।

এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, বাসগুলি পলেমপুর পর্যন্ত আসছে। সেখান থেকে এক কিলোমিটার হেঁটে যাত্রীদের টোটো বা রিকশা করে শহরে ঢুকতে হচ্ছে। অনেকে আবার নৌকায় সাইকেল বা মোটরবাইক চাপিয়েই দামোদর পার হচ্ছেন। এ ছাড়া বর্ধমান থেকে যাঁরা প্রতিদিন কর্মসূত্রে বাসে চেপে বিভিন্ন জায়গায় যান, তাঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। নিত্যযাত্রীরা জানান, একে গরম, তার উপর যানবাহন না মেলায় চরম ভোগান্তি হয়েছে। রোগী যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি বলেও তাঁদের দাবি। নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ, এর আগেও কৃষক সেতু সংস্কারের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর প্রায় এক মাস সেতুর অর্ধেক খোলা ছিল। এখন সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, বন্ধ রাখার আগে বিকল্প ব্যবস্থা করা দরকার ছিল। পূর্ত দফতরের এক বাস্তুকার জানান, মঙ্গলবার থেকেও কৃষক সেতুর সম্পূর্ণ খোলা থাকবে না। এক দিক দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। জুন মাসের শেষে সেতুটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, দামোদরের উপর অস্থায়ী ভাবে বিকল্প পথ তৈরি করা হলে বিপদের আশঙ্কা ছিল। তাই যাত্রী পারাপারের জন্য দামোদরে নৌকা রাখা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE