শিল্পাঞ্চল-সহ জেলাজুড়ে চলছে ‘মিশন নির্মল বাংলা’ অভিযান। কিন্তু দুর্গাপুরের মধ্যে রথের মেলায় শৌচাগারের অব্যবস্থায় নাকাল দোকানি থেকে সাধারণ মানুষ।
প্রতি বছরের মতো এ বারও ইস্পাতনগরীর রাজীব গাঁধী মেলা ময়দানে বসেছে রথের মেলা। প্রায় পনেরো দিন চলে মেলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানিরা প্রসাধনী, আসবাবপত্র, খাবারের দোকান, নাগরদোলা, বইয়ের স্টল দিয়েছেন। দোকানিদের অভিযোগ, শৌচাগারের সংখ্যা কম থাকায় সবসময়েই থাকছে লম্বা লাইন। এর ফলে শৌচকর্ম ছুটতে হচ্ছে পাশের জঙ্গলে।
মেলা চত্বরে শৌচাগারগুলির অপরিচ্ছন্নতা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। দোকানিদের অভিযোগ, নিয়মিত শৌচাগারগুলি পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ছড়ানো হয় না ব্লিচিং। মহিলাদেরও বাধ্য হয়ে সেই শৌচাগারগুলিই ব্যবহার করতে হচ্ছে। দোকানিদের অভিযোগ, মেলা কমিটিকে জানিয়েও লাভ হয়নি।
মেলায় স্টল রয়েছে সুব্রত মণ্ডল, রানিবালা দুলে, গোপাল দাসদের। তাঁরা জানান, প্রতিটি স্টলে গড়ে চার জন করে রয়েছেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা তিন হাজারের কাছাকাছি। তার উপর মেলায় ফি দিন কয়েক হাজার মানুষ আসছেন। শৌচাগারের সমস্যার জন্য তাই বাধ্য হয়ে পাশের জঙ্গলে যেতে হয় অনেক সময়।
এই পরিস্থিতিতে এলাকা জুড়ে ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের। প্রতিদিন মেলার পাশের রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন তাপস সিকদার, মৃণাল বাগচীরা। তাঁরা জানান, প্রতি বছরই এই দুর্ভোগ হয়।
যদিও মেলা কমিটির সম্পাদক তপন মুখোপাধ্যায় জানান, মেলা প্রাঙ্গণে ৩২টি শৌচাগার রয়েছে। সেগুলি প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয়। মহকুমাশাসক শঙ্ঘ সাঁতরা জানান, মেলার জন্য ছাড়পত্র দেয় দুর্গাপুর পুরসভা। তবুও বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন তিনি। পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সমস্যার কথা তাঁর কানে এসেছে। খোঁজ নিয়ে তা মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলেও আশ্বাস তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy