nবরাকরে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয় এই পথেই। নিজস্ব চিত্র
নর্দমার জলে ডুবে রয়েছে জলপ্রকল্পের পাইপলাইন। নদীতে যাওয়ার রাস্তায় ডাঁই আবর্জনা। এ সব পেরিয়েই নিত্য যাতায়াত এলাকার বাসিন্দাদের। বরাকর নদ লাগোয়া এলাকায় এমন দূষণে জেরবার হয়ে উঠেছেন বাসিন্দারা। পুরসভার কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষের।
বরাকরে ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বরাকর নদ। এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা জলের জন্য নদীর উপরে ভরসা করেন। কিন্তু সেখানে দূষণের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা নারায়ণচন্দ্র সাউ জানান, প্রতিদিন এই আবর্জনা ডিঙিয়েই তাঁরা নদীতে যেতে বাধ্য হন। পুরসভার কাছে বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
বেগুনিয়া চৌমাথা থেকে বাঁ দিকে ঢালাই রাস্তা ধরে সোজা নদীর কাছে পৌঁছলেই দেখা যায়, জঞ্জাল ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে। কোনওমতে মানুষজন যাতায়াত করছেন। নদীর পাড় ধরে আরও খানিকটা বাঁ দিকে গেলেই দেখা যায়, থকথকে কাদা, নর্দমার জলে ডুবে রয়েছে বরাকর জলপ্রকল্পের পাইপলাইন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, বরাকর, কুলটি, ডিসেরগড়, ওল্ড জিটি রোড-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিকাশি জল ওই নদীতে গিয়ে পড়ছে। জলের সঙ্গে আবর্জনাও ভেসে আসছে। নদীর রাস্তায় সে সব ডাঁই হয়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অক্ষয় চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বর্ষায় জলের তোড়ে আশপাশের এলাকায় আরও ছড়িয়ে পড়ে আবর্জনা। বাসিন্দাদের নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। পোকামাকড়, মশা-মাছির উপদ্রব চরমে ওঠে। তাঁর কথায়, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। কোথায় গেলে প্রতিকার পাব জানি না।’’
পুরসভার বরাকর ও কুলটির ৯ নম্বর বরো চেয়ারম্যান বেবি বাউড়ি বলেন, ‘‘এই সমস্যার কথা জানি। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ দূষণ প্রতিরোধে নদী সংস্কারের বিষয়ে পুরসভার তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। তবে যত দিন না তা হচ্ছে, নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না এলাকাবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy