Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

বিক্রি নেই পতাকার, আক্ষেপ ব্যবসায়ীদের

সুশোভনবাবু বলেন, ‘‘কলকাতার বড়বাজার ও চিনাবাজার থেকে পতাকা আনি। এ বছর এখনও অবদি পাঁচশো পতাকাও বিক্রি হয়নি। যেটুকু হয়েছে অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মেলাতেই।’’

পসরা সাজিয়ে। নিজস্ব চিত্র

পসরা সাজিয়ে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৬
Share: Save:

ভোটের এক মাসও বাকি নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার, মনোনয়ন জমা শুরু হয়ে গেলেও কাটোয়ায় এখনও পর্যন্ত দলীয় পতাকার বিক্রি তেমন নেই বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাঁদের দাবি, পরিবেশবান্ধব প্রচারের জন্য কাপড়ের পতাকা, কাগজের পতাকা আনিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু স্থানীয় নেতাদের কাছে চাহিদা নেই কোনওটারই।

কাটোয়ার গোয়েঙ্কা মোড়ে খাতা কলমের দোকান সুশোভন ভট্টাচার্যের। বছর পাঁচেক ধরে সেখানেই রাজনৈতিক দলের পতাকা বিক্রি করেন তিনি। এ বছর এখনও পর্যন্ত ২০০টি বড় সিন্থেটিক কাপড়ের পতাকা, চার হাজার ছোট পতাকা ও ৪০ হাজার কাগজের পতাকা এনেছেন তিনি। কিন্তু বাজার মন্দা।

সুশোভনবাবু বলেন, ‘‘কলকাতার বড়বাজার ও চিনাবাজার থেকে পতাকা আনি। এ বছর এখনও অবদি পাঁচশো পতাকাও বিক্রি হয়নি। যেটুকু হয়েছে অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মেলাতেই।’’ তা ছাড়া কেতুগ্রাম ও নদিয়ার কালীগঞ্জের কিছু পঞ্চায়েতের খদ্দের পতাকা কিনেছেন বলেও জানান তিনি। কাছাড়ি রোডে দোকান রণজিৎ দেবনাথের। তাঁর দাবি, ‘‘বাজারের হাল দেখে এ বছর পতাকা আনি নি এখনও।’’ কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডের এক দোকান মালিক অরূপ সাহারও দাবি, ‘‘এ বছর এখনও পর্যন্ত বিক্রি বেশ কম।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

রাজনৈতিক দলগুলির যদিও দাবি, পতাকা থেকে শুরু করে ভোট প্রচারের নানা সামগ্রীই দলীয় নেতৃত্ব সরবরাহ করেন। ফলে স্থানীয় ভাবে পতাকা কেনার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। তাঁদের দাবি, লোকসভা ভোটের তুলনায় বিধানসভা, পুরভোটে ওয়ার্ড বা গ্রামভিত্তিক নিয়মিত প্রচার অনেক বেশি হওয়ায় পতাকা লাগে বেশি। সেই তুলনায় লোকসভা ভোটের প্রচারে বড় ব্যানার, ফ্লেক্সের চাহিদা বেশি। কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও অবধি দশ হাজার পতাকা কলকাতা থেকে আনিয়েছি। স্থানীয় ভাবে কিছু নেওয়া হয়নি।’’ বিজেপির জেলা নেতৃত্ব জানান, বর্ধমান পূর্বে ভোট প্রচারের জন্য এখনও অবধি ৩০ হাজার পতাকা, ২০ হাজার টুপি, ২০ হাজার উত্তরীয়, ২০ হাজার মোদি মুখোশ আনা হয়েছে। এগুলো দলই সরবরাহ করে। সিপিএমের পতাকাও দল থেকে পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

সুশোভনবাবুর আক্ষেপ, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ঝোঁক বাড়ায় লোকে পতাকা কম কিনছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE