Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি

প্রশাসন ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন দুপুরে পূর্ব বর্ধমান ও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা কৃষকদের নিয়ে একটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

মাটি তীর্থ, কৃষি কথা’ প্রাঙ্গনে আগাছা সাফাই শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার।

মাটি তীর্থ, কৃষি কথা’ প্রাঙ্গনে আগাছা সাফাই শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার। ছবি: উদিত সিংহ

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২২ ০৮:২২
Share: Save:

অতিমারি-পর্ব কাটিয়ে প্রায় তিন বছর পরে, আগামী সোমবার, ২৭ জুন বর্ধমান শহরে আসার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

প্রশাসন ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন দুপুরে পূর্ব বর্ধমান ও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা কৃষকদের নিয়ে একটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে, বর্ধমান শহরে দলেরও একটি সভা হওয়ার কথা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চের অ্যানেক্সি হলে জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিক ভাবে বর্ধমান শহরের স্পন্দন মাঠে দলীয় সভা করার কথাভেবেছেন তাঁরা। যদিও পুলিশের একাংশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে যে পরিমাণ লোক হবে, তাতে ওই মাঠে ঠাঁই দেওয়া মুশকিল।

জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা রয়েছে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ দিনই কৃষি দফতরের এক সচিব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কৃষকদের সভার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে জেলাশাসককে (পূর্ব বর্ধমান) চিঠি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মাটি তীর্থ, কৃষি কথা’ প্রাঙ্গনে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেবেন। ওই দিনই খরিফ মরসুমের জন্য ‘কৃষক বন্ধু’ (নতুন) প্রকল্পের কিস্তিও দেওয়া হবে। এ দিন কৃষি সচিব ওঙ্কার সিংহ মিনা, রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বর্ধমানের সাধনপুরে ‘মাটি তীর্থ, কৃষি কথা’র হাল দেখতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। তাঁরা দেখেন, জায়গাটা আগাছায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। বড় বড় ঘাস গজিয়েছে। সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে। জেলাশাসক মাঠটি ঠিক করার জন্য পূর্ত দফতর ও কৃষি দফতরকে নির্দেশ দেন। এ দিনই আগাছা পরিষ্কার করার কাজও শুরু হয়েছে। যন্ত্র দিয়ে মাঠ ঠিক করা হচ্ছে।

কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন, তা নিয়ে এক প্রস্ত আলোচনা করেন প্রশাসন ও কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। কৃষকদের গাড়ি-বাস কোথায় রাখা হবে, মূল মঞ্চটিকে কী ভাবে সাজানো হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘‘অতিমারি পর্ব কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে আসবেন। কৃষকদের স্বার্থে তিনি একাধিক প্রকল্প নিয়েছেন। উপভোক্তাদের হাতে সে সব প্রকল্প তুলে দেবেন। কী ধরনের ব্যবস্থা করতে পারব, তা দেখতে এসেছি আমরা।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়াও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের সংবর্ধনা দেবেন বলে ঠিক হয়েছে। তাই মাঠ দেখে গেলাম।’’ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (কৃষি) মহম্মদ ইসমাইলের দাবি, জেলার পাঁচ হাজার ও রাজ্যের নানা জায়গা থেকে আরও পাঁচ হাজার কৃষক মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ দিন সন্ধ্যায় দলীয় সভায় ঠিক হয়, স্পন্দন মাঠে সভা করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের কর্তারা এসেই মাঠ চূড়ান্ত করবেন। ওই সভায় যত বেশি সম্ভব লোক আনার জন্য বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিদের দায়িত্ব দিয়েছেন জেলা নেতারা। ঠিক হয়েছে, বৃহস্পতিবার বৈঠক করে কোন ব্লক থেকে, কত জন আসবেন, তার হিসাব করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE