চলছে বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো ‘সিটি বাস’ চালু করার সিদ্ধান্ত হলেও দূরপাল্লার বাস শহরে না ঢোকার নিয়ম বহাল রইল। তার সঙ্গে শহরের সমস্ত স্কুলের বড় বাস শহরে ঢোকার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। মঙ্গলবার রাজ্যের পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্কুলগুলিকে শহরের মিনি বাস চালানোর কথা বলা হবে।
এ দিনের বৈঠকে জেলা প্রশাসনের কর্তারা, ব্যবসায়ী এবং বাস মালিক সংগঠনের নেতারা হাজির ছিলেন। ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা শহরের ভিতর দূরপাল্লার বাস ঢোকানোর দাবি জানান। সেই দাবি নস্যাৎ হওয়ার পরে বর্ধমান শহর লাগোয়া ৩০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে বাস চালানোর দাবি জানান তাঁরা। তাও মানেনি প্রশাসন। এর সঙ্গে শহরের ভিতর যান চলাচলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে খড়্গপুরের আইআইটি-র প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসনের দাবি, তাদের রিপোর্টের উপরেই নির্ভর করছে ভবিষ্যতে শহরের মধ্যে দিয়ে বাস চলবে কি না।
আলাপনবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বর্ধমানে চারটে ‘সিটি বাস’ চালাবে সরকার। মিনি বাসের মতই দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার ওই বাসগুলি শহরের দুটি বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করবে। বৈঠকে পরিবহণ নিয়ে নানা রকম দাবি ওঠায় ঠিক হয়েছে, আগের মতোই আইআইটি প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে শহরের পরিবহণ পরিকাঠামো নিয়ে গবেষণা করানো হবে। বাম আমলে আইআইটির গবেষণা মেনেই, শহরের বাইরে দুটি বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই শহরের ভিতর জিটি রোডের পরিকাঠামো সেজে তুলতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। তার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এ দিন টোটো-সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়। ঠিক হয়েছে, আগের মতই জিটি রোড দিয়ে টোটো চলাচল করতে পারবে না।
তবে প্রশাসনের কড়া মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরের বিশিষ্টজনেরা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পরীক্ষা নিয়ামক রাজীব মুখোপাধ্যায় থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক সুশান্ত কুমার দাসেরা বলেন, “শহরের ভিতর রাস্তায় সবসময় চাপ থাকে। যানজট যেখানে নিত্যসঙ্গী, সেখানে দূরপাল্লার বাস চললে রাস্তায় দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী। প্রশাসন ঠিকই করেছে।” শহরের ব্যবসায়ীদেরও একাংশ মনে করেন, “তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড থাকার সময় দুঃসহ পরিস্থিতি শিকার হতে হতো। এখন শহর যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যবসায়ীর কথা না ভেবে প্রশাসন সঠিক কাজই করেছে।” বিসি রোড থেকে অবৈধ পার্কিং সরানোও দাবিও তোলেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy