নয়ের দশকে পাণ্ডবেশ্বরের কুমারডিহি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হয়েছিল ‘ডিহি পার্ক’। ১৫ একরের বেশি জায়গায় এই পার্কটি তৈরি করেছিলেন ইসিএলের বাঁকোলা এরিয়া কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই পার্ক বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযুক্ত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলেই পার্ক ‘দুষ্কৃতী’দের ডেরায় পরিণত হয়।
কুমারডিহি, বাঁকোলা, জোয়ালভাঙা-সহ সাতটি গ্রাম এবং ন’টি কোলিয়ারি এলাকার বাসিন্দাদের কাছের পার্ক বলতে এই ডিহিপার্ক। এই পার্ক চত্বরে একটি সাংস্কৃতিক ম়ঞ্চ রয়েছে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে গাছ পড়ে রয়েছে। পার্কের প্রবেশদ্বারের কাছে নিরাপত্তরক্ষীর জন্য একটি ঘর থাকলেও তাতে সব সময় তালা দেওয়া আছে। পার্কের ভিতরে বসার জন্য বাঁধানো জায়গা আছে। কিন্তু চারপাশে আগাছা সাফাই না হওয়ায় সেখানে কেউ বসতে পারেন না। শিশুদের খেলাধুলোর সামগ্রী রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে গিয়েছে। সৌন্দর্যায়নের জন্য ইসিএল পার্ক জুড়ে বৃক্ষরোপণ করেছে। তবে আগাছা ও আবর্জনা সাফাই না হওয়ায় এক প্রকার জঙ্গলে পরিণত হয়েছে পার্কটি। নেই আলোর ব্যবস্থাও।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, আলোর না থাকায় অন্ধকার নামার আগেই পার্ক ছেড়ে চলে যেতে হয়। কারণ, অন্ধকারে পার্কটি দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যায়। কুমারডিহির বাসিন্দা রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘পার্কের গাছ কেটে পাচারও করছে দুষ্কৃতীরা।’’ বাঁকোলার বাসিন্দা তথা ছোড়া পঞ্চায়েত সদস্য উজ্জ্বল বাউরি, নবগ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জীব মণ্ডল, কুমারডিহি ‘বি’ কোলিয়ারির কর্মী ইন্দ্রপাল ঠাকুরের দাবি, ‘‘পার্ক দেখভালের জন্য ইসিএল ও পঞ্চায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠন করা দরকার।’’