Advertisement
০৬ মে ২০২৪
কুলটি

রোদে দাঁড়িয়ে গ্রাহক, লিঙ্ক বন্ধে হয়রানি

চড়া রোদে প্রায় দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়েও মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পের (এমআইএস) সুদের টাকা পেলেন না বৃদ্ধ। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে দুর্ভোগের এই ছবিটা কুলটি ডাকঘরের। আরও অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে জুটছে দুর্বব্যবহার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৬ ০০:১৪
Share: Save:

চড়া রোদে প্রায় দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়েও মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পের (এমআইএস) সুদের টাকা পেলেন না বৃদ্ধ। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে দুর্ভোগের এই ছবিটা কুলটি ডাকঘরের। আরও অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে জুটছে দুর্বব্যবহার।

ডাকঘর সূত্রে খবর, গত ১৭ অগস্ট থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আর্থিক লেনদেন-সহ বিভিন্ন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। বাসিন্দারা জানান, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ পাস-বইতেও টাকা তোলা বা জমা দেওয়া যাচ্ছে না। উল্টে যে সব গ্রাহক মাসিক কিস্তি জমা দিতে পারছেন না, তাঁদের জরিমানাও করা হচ্ছে বলে খবর।

বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার ডাকঘরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, কোনও রকম আর্থিক লেনদেন হবে না। বিভিন্ন পরিষেবার জন্য যেতে হবে লাগোয়া বরাকর, বেগুনিয়া বাজার, ডিসেরগড় ও নিয়ামতপুরের ডাকঘরে।

দিনভর কুলটি ডাকঘরে দুর্ভোগের ছবি দেখা গিয়েছে। যেমন, এমআইএস-র সুদের টাকা তুলতে এসেছিলেন দীপেন চক্রবর্তী নামে এক জন। টাকা না পেয়ে তাঁর ক্ষোভ, ‘‘চড়া রোদের মধ্যে বারবার এসে ফিরে যাচ্ছি। অসুস্থ হয়ে পড়ছি। সুদ না পেলে এ বার দেখছি খাওয়া জুটবে না।’’ এমনই হাল ডাকঘরে আসা প্রবীণ নাগরিক-সহ অন্যান্য গ্রাহকদের। এক জন প্রবীণ জানান, টাকা পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতো কয়েক কিলোমিটার উজিয়ে বরাকর, নিয়ামতপুর বা ডিসেরগড়ের ডাকঘরে যেতে হচ্ছে। অভিযোগ, সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্য ডাকঘরের গ্রাহকেরা পরিষেবা পাবেন না। টাকা তুলতে না পেরে কেউ কেউ কুলটি ডাকঘরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে দুর্বব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী সমস্যার কথা জানাতে গেলে আধিকারিকদের অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা খাওয়ার উপক্রম হচ্ছে বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের একাংশের।

কিন্তু আচমকা এমন সমস্যা কেন? ডাকঘরের তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, কম্পিউটারে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই ইন্টারনেটের লিঙ্ক মিলছে না। এর জেরেই পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পোস্ট অমিত লাহিড়ির অবশ্য আশ্বাস, ‘‘সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে খুব দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।’’ তাঁর দাবি, পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোনও জরিমানা করা হবে না বলেও তাঁর আশ্বাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Monthly savings scheme customer Post office
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE