বিক্রিবাটা কম। নিজস্ব চিত্র।
বিকেলে কলেজ থেকে ফিরে বন্ধুদের সঙ্গে কার্তিক ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন কাটোয়া কলেজের এক ছাত্রী। ইচ্ছে ছিল একটু খাওয়া-দাওয়া করার। কিন্তু রাস্তার ধারের ফাস্ট ফুডের দোকানে গিয়েই বিপত্তি। দোকানি জানিয়ে দিলেন, পাঁচশো নেবেন না। শেষমেশ ব্যাজার মুখ করে ফিরতে হল আড্ডার দলটিকে। অচল নোটের জেরে বুধবার এমনই বিভিন্ন ছবি দেখা গেল কাটোয়ায়।
শহরের কাছারি রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুজো উপলক্ষে বসেছে বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের স্টল। রয়েছে চাউ-মোগলাই আর ফুচকার দেদার সম্ভার। খুচরোর অভাবে বুধবার ঘোরাটাই মাটি হয়েছে বলে জানান গৌতম দে, মনামী ঘোষেরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘ফি বছর মাত্র দু’দিন বাইরে খায়। খুচরোর অভাবে এ বার তাতেও কোপ পড়ল।’’
তবে কয়েক জন দোকান মালিক খুচরোর বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছেন। কী রকম? সার্কাস ময়দানের একটি রেস্তোঁরায় যেমন পেটিএম ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দাম মেটানো যাচ্ছে। সেখানেরই দোকানি নিশিতেশ কুণ্ডু বলেন, ‘‘অনেকে ১০০ টাকার খাবার খেলেও ৫০০ নোট ধরাচ্ছেন। সেই সব ক্রেতাদের জন্যই এমন ব্যবস্থা।’’ তবে সকলেই এমনটা নন। যেমন, লেনিন সরণির জনার্দন দাস নামে এক বিক্রেতা জানান, তিনশোর বেশি বিল না হলে পাঁচশো-হাজারের নোট নেওয়া হচ্ছে না। তার থেকে কম হলে ক্রেতাদের খুচরো দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন অস্থায়ী দোকানদারেরা সাফ জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নোট-বদলের ঝক্কি থেকে বাঁচতে বাতিল টাকা নেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসাও মার খাচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
তবে পেটপুজো সারতে উপায় বের করে ফেলেছে কলেজ পড়ুয়ার দলও। তাই বোধহয় সুস্মিতা সেন, সুপ্রতিম মুখোপাধ্যায়েরা বলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভাঁড় ভেঙে খুচরো এনেছি। পুজোয় খাওয়া হবে না, এমনটা তো চলতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy