Advertisement
০২ মে ২০২৪

বাড়িতে ফাটল,পুনর্বাসন নেই

প্রায় ছ’বছর আগে কুলটির আলডি গ্রামের ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের চিহ্নিত করে পুনর্বাসনের পরিচয়পত্র দিয়েছিল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্যদ (এডিডিএ)। কিন্তু তার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। অবস্থা এমনই, ধসের আশঙ্কায় রাত-পাহারা দিচ্ছেন বাসিন্দারা।

ফাটল: ধসের কবলে। নিজস্ব চিত্র

ফাটল: ধসের কবলে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:০২
Share: Save:

প্রায় ছ’বছর আগে কুলটির আলডি গ্রামের ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের চিহ্নিত করে পুনর্বাসনের পরিচয়পত্র দিয়েছিল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্যদ (এডিডিএ)। কিন্তু তার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। অবস্থা এমনই, ধসের আশঙ্কায় রাত-পাহারা দিচ্ছেন বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার পুনর্বাসন চেয়ে কয়েকশো বাসিন্দা চিঠি পাঠিয়েছেন ইসিএল ও এডিডিএ দফতরে।

বাসিন্দারা জানান, গত ২৭ মার্চ গভীর রাতে গ্রামের মসজিদপাড়া এলাকায় মাটি বসে যায়, বাড়িতে ফাটল ধরে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। পুনর্বাসনের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভও। খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ছুটে আসেন ইসিএলের কর্তারাও। কিন্তু তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

শুক্রবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, দু’টি ধর্মীয় স্থানের দেওয়াল ও মেঝেতে চওড়া ফাটল দেখা গিয়েছে। এলাকার বড় এলাকা জুড়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়িতেও ফাটল দেখা গিয়েছে। সেখানেই কোনও ক্রমে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। তাঁদেরই এক জন মহম্মদ আলি মুর্তজা এডিডিএ-র দেওয়া পুনর্বাসনের পরিচয়পত্র দেখিয়ে বলেন, ‘‘দ্রুত আমাদের এখান থেকে সরানো হোক। না হলে যে কোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’ গঙ্গাধর যাদব নামে এক বাসিন্দার ক্ষোভ, ‘‘বিপদের আশঙ্কায় রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছি না। পালা করে রাত-পাহারা দিচ্ছি।’’ তাঁর দাবি, এলাকা নিরীক্ষণ করে এডিডিএ ২০১১-র মে মাসে পুনর্বাসন সংক্রান্ত পরিচয়পত্র দিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও পুনর্বাসনের কাজ এগোয়নি।

ইসিএলর সোদপুর এরিয়ার জিএম সুজিত সরকার বলেন, ‘‘এলাকাটি ধস কবলিত। প্রত্যেককেই উঠে যেতে হবে। কয়লা মন্ত্রকের টাকায় এডিডিএ পুনর্বাসন দেবে।’’ ইসিএলের কর্তাদের একাংশের দাবি, এলাকায় অবৈধ ভাবে কয়লা কাটার ফলেও বিপদ বাড়ছে। এডিডিএ-র দাবি, পুনর্বাসনের বিষয়টি রাজ্যের আবাসন দফতর দেখছে। তার জন্য জমিও দেখা হয়েছে বলে দাবি। জিএম সুজিতবাবুর আশ্বাস, আপাতত গর্ত ভরাট ও ঘড়বাড়ির সংস্কারের ব্যবস্থা তাঁরা করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE