Advertisement
০৬ মে ২০২৪
প্রশাসনে বাম গণ সংগঠন

ফ্লেক্স ছেঁড়া, অভিযোগ হেনস্থারও

পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে টাঙানো ফ্লেক্স নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ওয়ার্ডে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রশাসনের দ্বারস্থ বামেরা। নিজস্ব চিত্র।

প্রশাসনের দ্বারস্থ বামেরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০১:০৯
Share: Save:

কোথাও শাসকদলের ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ। কোথাও বিরোধী প্রার্থীর ফ্লেক্স নষ্ট করার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। আবার নানা এলাকায় প্রার্থীদের হেনস্থার অভিযোগ— পুরভোটকে কেন্দ্র করে চাপান-উতোর বাড়ছে দুর্গাপুরে। এরই মধ্যে সোমবার মহকুমা রিটার্নিং আধিকারিকের কাছে বামেদের ১৩টি গণ সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়, পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটে জেতার ছক কষছে তৃণমূল।

পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে টাঙানো ফ্লেক্স নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ওয়ার্ডে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে কাউন্সিলর ছিলেন বিদায়ী মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় এ বার তৃণমূল প্রার্থী করেছে তাঁর স্ত্রী, আর এক বিদায়ী কাউন্সিলর অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়কে। সোমবার সকালে দেখা যায়, অমিতাভবাবুর সমর্থনে লাগানো ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অমিতাভবাবুর অভিযোগ, ‘‘শাসকদল বিজেপিকে ভয় পেয়েছে। তাই এ সবের পথ নিয়েছে।’’ তৃণমূলের দাবি, মানুষের সমর্থন না পেয়ে নিজেদের ফ্লেক্স ছিঁড়ে অস্তিত্ব জাহির করতে চাইছে বিজেপি।

এ দিন সকালে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী ছবি নন্দীর সমর্থনে লাগানো ব্যানার ছেঁড়া। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দাবি, প্রার্থীর সমর্থনে পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাধিপতি দেবু টুডুর প্রচারে ভিড় দেখে বিভ্রান্ত হয়ে সিপিএম এই কাজ করেছে। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, আর কিছু নয়।’’

পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দীর স্ত্রী ওই ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে এ দিন তিনি অভিযোগ করেন মহকুমা রিটার্নিং আধিকারিকের কাছে। তাঁর দাবি, অরবিন্দবাবুকে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তা না করলে ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘ভোটের সময়ে আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যার কারণে পুরনো মামলা থাকা লোকজনকে থানায় ডেকে সতর্ক করা হয়। তেমন কিছু হয়ে থাকতে পারে। অন্য কিছু নয়।’’

এ দিন সন্ধ্যায় আবার নিশানহাটে প্রচারে গিয়ে দলের প্রার্থী সোমা মণ্ডল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতে হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। দলের জেলা শিল্পাঞ্চল সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’ পুলিশের অবশ্য দাবি, দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

বামেদের ১৩টি গণ সংগঠনের যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক পঙ্কজ রায় সরকার অভিযোগ করেন, থানা থেকে ফোন করে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কাউকে থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। আবার কারও বাড়িতে কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘শাসকদল পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে।’’ মহকুমা রিটার্নিং আধিকারিকের দফতর অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মিথ্যে দোষারোপের ফল ভোটের বাক্সে পাবে বিরোধীরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE