কাটোয়ায় সম্মেলন যাত্রীদের। নিজস্ব চিত্র
ট্রেন চালু হয়েছে বটে। কিন্তু দিনে মোটে একটি। চালু হওয়ার পরে বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও ট্রেনের সংখ্যা না বাড়ায় ক্ষুব্ধ কাটোয়া-বর্ধমান ও কাটোয়া-আমোদপুর লাইনের যাত্রীরা। বারবার দাবি জানানোর পরেও পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই বলে তাঁদের অভিযোগ। ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে রবিবার সম্মেলন করলেন এই দুই লাইনের যাত্রী কমিটি।
এ দিন কাটোয়া স্টেশন লাগোয়া রেলওয়ে রিক্রেয়শন হলে আমোদপুর ও বর্ধমান রুটের যাত্রী কমিটির জনা তিরিশ সদস্য সম্মেলনে যোগ দেন। গত ১২ জানু্য়ারি কাটোয়া-বর্ধমান ব্রডগেজ পুরোপুরি চালু হয়। তার আগে বর্ধমান থেকে শ্রীখণ্ড পর্যন্ত ট্রেন চলত। কাটোয়া পর্যন্ত যাত্রা শুরু হলেও নতুন কোনও ট্রেন দেওয়া হয়নি। দুপুর ২টোয় বর্ধমান থেকে ছেড়ে বিকেল সাড়ে ৩টেয় কাটোয়া পৌঁছয়। তার পরে ওই ট্রেনটিই বিকেল ৪টেয় কাটোয়া থেকে যাত্রা করে সাড়ে ৫টায় বর্ধমানে পৌঁছয়। যাত্রীদের অভিযোগ, সকালে কোনও ট্রেন না থাকায় চাকুরিজীবী থেকে ছাত্রছাত্রী, সকলেই খুব সমস্যায় পড়েন। আগের মতোই বাসে তিন গুন বেশি ভাড়া ও অনেকটা সময় ব্যয় করে বর্ধমানে পৌঁছতে হচ্ছে।
২৪ মে কাটোয়া থেকে আমোদপুর পর্যন্ত ব্রডগেজ ট্রেন চালু হয়েছে। কিন্তু এই লাইনেও দিনে একটি মাত্র ট্রেন চলে। নিমতিতা-কাটোয়া লোকাল ট্রেনটি সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ছেড়ে ১০টা ১০ মিনিটে আমোদপুর পৌঁছয়। সেটি ফের সকাল সাড়ে ১০টায় সেখান থেকে রওনা হয়ে দুপুর ১২টা ১০ নাগাদ কাটোয়ায় পৌঁছয়। যাত্রীদের দাবি, এই ট্রেনটি সকালে চলায় খানিক সুবিধা হয়। কিন্তু দিনভর আর কোনও ট্রেন না থাকায় নিত্যযাত্রীরা মুশকিলে পড়েন।
কাটোয়া-বর্ধমান ও কাটোয়া-আমোদপুর রেল যাত্রী কমিটি তরফে শ্যামল মজুমদার, রবীন্দ্রনাথ পাল, সানি আজাদরা বলেন, ‘‘বর্ধমান-বীরভূম জেলার সংযোগকারী এই রেলপথ খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা, চিকিৎসা ও কাজের প্রয়োজনে দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ এই দুই লাইনে যাতায়াত করেন। অন্তন ছ’জোড়া ট্রেন না দিলে আমরা আন্দোলন করব।’’ মাসখানেক আগে এই একই দাবিতে স্টেশন ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি দেন যাত্রী কমিটির সদস্যেরা।
যাত্রী কমিটির তরফে রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, ট্রেনের সংখ্যা নিয়ে মতামত জানতে ও সচেতনতা তৈরি করতে কাটোয়ার আশপাশে গোয়াই, খাজুরডিহি, গঙ্গাটিকুরির মতো গ্রামগুলিতে সই সংগ্রহ অভিযান করা হবে। ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে এ দিন পূর্ণাঙ্গ টাইম টেবিল প্রকাশ ও কাটোয়া স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে টিকিট কাউন্টারটি চালুর দাবিও জানান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই টিকিট কাউন্টারটি বন্ধ থাকায় ছোট লাইনপাড় দিয়ে স্টেশনে আসা যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে।
গত ৩ এপ্রিল রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যাকে পাঠানো চিঠিতে জানান, এই শাখায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো ও সময়ে ট্রেন দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরের নজরে আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাসও দেওয়া হয়। চার মাস পেরোলেও বাড়তি ট্রেন না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। রেল সূত্রে জানা যায়, রেক ও কর্মীর অভাবেই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। যাত্রীদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার দিলীপকুমার মণ্ডল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy