রানিগঞ্জকে মহকুমা করার আসানসোল পুরসভার ২ নম্বর বরো কার্যালয়ের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ হল বৃহস্পতিবার। নেতৃত্বে ছিল রানিগঞ্জ সিটিজেন্স ফোরাম। প্রায় ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানোর পরে, বরো চেয়ারম্যান মোজাম্মেল শাহাজাদাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি গৌতম ঘটক জানান, ১৮৪৬ থেকে ১৯০৬ সাল পর্যন্ত রানিগঞ্জ মহকুমা শহর ছিল। পরে তা আসানসোল মহকুমার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
ফলে, পৃথক মহকুমার মর্যাদা হারায় রানিগঞ্জ। গৌতমের দাবি, “রানিগঞ্জ শহরে বিভিন্ন পরিষেবা অপর্যাপ্ত। বেহাল সংযোগকারী রাস্তা। দূরপাল্লা বাসের জন্য ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে কোনও বাস টার্মিনাস, শহরে সরকারি প্রেক্ষাগৃহ নেই। শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তার পাশে জায়গা দখল করে অস্থায়ী বাজার তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি মনে করেন, রানিগঞ্জকে মহকুমা করা এই সব সমস্যা মিটে যাবে। দাবি আদায়ে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রানিগঞ্জের প্রায় ৫০টি সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠন।
বরো চেয়ারম্যান জানান, রানিগঞ্জকে মহকুমা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তাঁর দাবি, যথাসম্ভব নাগরিক পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে মহকুমার দাবিতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে কিছু ব্যবসায়ী আছেন, যাঁরা শহরের রাস্তার দু’পাশের জায়গা দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)