শনিবার বিরল ক্যামেলিয়নের খোঁজ মিলল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে। —নিজস্ব চিত্র।
সাত সকালে একটি বিরল প্রাণীর দেখা! শনিবার বিরল ক্যামেলিয়নের খোঁজ মিলল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে। প্রাতঃভ্রমণকারীরা ক্যামিলিয়নটি দেখতে পান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির ঠিক সামনের জঙ্গলে। খবর পেয়ে সেখানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা পৌঁছে যান। তাঁরা প্রাণীটিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি গাছে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
ক্যামিলিয়নটিকে প্রথম দেখতে পান শিক্ষা দফতরের কর্মী প্রিয়ব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনিই ক্যামিলিয়নটিকে শনাক্ত করেন। তার পর সেখানে উপস্থিত হন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অফিসার কৌশিক সরকার, বিজ্ঞান বিভাগের ডিন সুনীল কারফার্মা, জিয়োলজি বিভাগের কৌশিক ঘোষেরা। অধ্যাপক কৌশিক বলেন, ‘‘এই ধরনের প্রাণী এখানে সচরাচর দেখা যায় না। বেশ কয়েক বছর আগে এক বার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ক্যামিলিয়নের দেখা মিলেছিল। তার পর আবার দেখলাম গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে। এরা মূলত আফ্রিকার জঙ্গলে থাকে। তবে স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলেও এদের দেখা মেলে।’’
অধ্যাপকেরাই জানিয়েছেন, ক্যামিলিয়নের জিহ্বা খুবই লম্বা। বিশ্রামে থাকার সময় জিহ্বা মুখের ভেতর থাকে। কিন্তু এটি যখন বাইরে শিকার ধরার জন্য ছুড়ে মারে, তখন জিহ্বার দৈর্ঘ্য তার নিজের শরীরের দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ হয়ে যায়। বড় চোখের পাতা চোখকে ঢেকে রাখে। একটি ছোট খোলা অংশ দিয়ে আলো ঢুকতে পারে। এদের চোখের একটি বিশেষত্ব আছে। যখন এক চোখ দিয়ে একদিকে দেখে, তখন অন্য চোখ দিয়ে অন্য দিকে দেখতে পারে ক্যামিলিয়ন।
ক্যামেলিয়ন ধীরগতির এবং অলস প্রকৃতির। শিকার নাগালের মধ্যে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। গাছের ডালে স্থির হয়ে বসে থাকে। কারণ তাদের কোনও তাড়া নেই। পোকামাকড় ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেলিয়নকে দেখে না। কারণ সে আশপাশের রংয়ের সঙ্গে তার রং মিশিয়ে ফেলে। সে নড়ে না। একটি পতঙ্গ আসলেও তা ক্যামেলিয়ন দেখতে পায়। পতঙ্গটি কাছে যায় এবং থেমে যায়। ক্যামেলিয়ন খুব দ্রুত তার আঠালো জিহ্বাটি ছুড়ে দিয়ে পোকাটিকে ধরে মুখে পুড়ে নেয়। তারপর সে আগের মতো আবার অপেক্ষা করতে থাকে। খুব সহজে রং পরিবর্তন করতে পারার জন্য এরা বিখ্যাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy