Advertisement
২৯ মার্চ ২০২৩
Mamata at Bardhaman

সেতুর কাজে দিশা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, আশা কালনায়

২০১৮ সালে কালনায় একটি বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে যান, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের মধ্যে সেতু তৈরির কাজ হয়ে যাবে।

সেতুর খুঁটি পোঁতা। নিজস্ব চিত্র

সেতুর খুঁটি পোঁতা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:১৬
Share: Save:

ভাগীরথীর উপরে কালনা এবং নদিয়ার শান্তিপুরের মধ্যে সেতুর জন্য জমি কেনার কাজ এগিয়েছে অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে সেতুর শিলান্যাস নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেন কি না, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে কালনার বহু মানুষের। এই সেতু তৈরির স্বপ্ন কালনার বাসিন্দাদের বহু বছরের। সেতুটি তৈরি হলে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে না, বাড়বে পর্যটকদের আনাগোনা।

Advertisement

২০১৭ সালে রাজ্য সরকার প্রথম সেতু তৈরির কথা ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে কালনায় একটি বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে যান, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের মধ্যে সেতু তৈরির কাজ হয়ে যাবে। কালনা ২ ব্লকের সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের বারাসাত মৌজায় ৬.৩৪০৫ একর, হাঁসপুকুর মৌজায় ১৩.৭১৯৭ একর, কুলিয়াদহ মৌজায় ১৫.৯১৫৯ একর এবং পূর্বসাহাপুর মৌজায় ১২.০৭৩৫ একর জমি কেনার কথা হয়। পূর্ত দফতর কুলিয়াদহ এবং বারাসত মৌজায় আরও ১১.২৪ শতক জমি কেনার পরামর্শ দেয়। সব মিলিয়ে সেতুর জন্য জমির প্রয়োজন হয় ৪৭.৮৭৩১ একর। সরকারি ভাবে ৪৭.৭৩৯৯ একর জমি কেনার জন্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। শুরুতে জমির দর বাড়ানোর দাবিতে অনিচ্ছা জানালেও পরে সরকারি শিবিরে সেতুর জন্য জমি দিতে চার মৌজার বেশির ভাগ জমি মালিকই সম্মতি দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জমি কেনা হয়েছে ৪৬.৫৪৯৪ একর। যা শতাংশের নিরিখে ৯৭.২৪। জমি কেনার জন্য খরচ হয়েছে ৮২ কোটি টাকারও বেশি। মামলা মোকদ্দমা, জমির মালিকানা-সহ নানা কারনে ১.৩২ একর জমি কেনা বাকি রয়েছে। জেলা জমি ক্রয় কমিটি দু’দফায় পূর্ত দফতরকে ওই জমি হস্তান্তরও করে দিয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে খুঁটি পুঁতে জমি কেনা এলাকা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। কালনার এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, ‘‘আমাদের আশা, সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেলে ওইটুকু জমি পেতে বেগ পেতে হবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রী সেতুর জমি কেনা এবং পরবর্তী কাজের বিষয় নিয়ে খোঁজ নিতে পারেন আন্দাজ করে যাবতীয় তথ্য প্রস্তুত করে রেখেছেন প্রশাসনের কর্তারা।

কালনার সাতগাছি এলাকার বাসিন্দা শেখ বাবর আলি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে নদীর উপরে সেতু তৈরি হবে বলে শুনছি। জমি কেনার কাজ যখন অনেকটাই হয়ে গিয়েছে, আশা করছি মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসে সেতু তৈরির ব্যাপারে বার্তা দেবেন।’’ কালনা শহরের বাসিন্দা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘আমাদের বহু বছরের স্বপ্ন কালনা ও শান্তিপুরের মধ্যে সেতুটি। সেতুটি তৈরি হলে এলাকার অর্থনীতি বদলে যাবে। আশা করছি মুখ্যমন্ত্রী কাজ ত্বরান্বিত করতে বলবেন।’’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেতুর শিলান্যাস হয়ে গেলে দল সুবিধা পাবে মনে করছেন তৃণমূল নেতারা। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্যই কাজ করেন। জমি কেনা যখন এগিয়েছে, আশা করা যায় সেতু তৈরির কাজও দ্রুত হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.