রাস্তা আটকে অবরোধ পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।
বালিবোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ, স্কুলের আগে গতি নিয়ন্ত্রণের হাম্প তৈরির দাবি বহু দিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু কোনওটাই হয়নি। তার মধ্যেই স্কুল যাওয়ার পথে বালিবোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে এক পড়ুয়ার ধাক্কায় উত্তেজনা ছড়াল জামালপুরের রামনাথপুরে।
পঞ্চাম শ্রেণির ওই ছাত্রের আহত হওয়ার খবর ছড়াতেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ শুরু করেন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ট্রাক্টরটিতেও। এমনকী, পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশের সঙ্গেও বচসা বেধে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের।পরে জামালপুরের বিডিও সুব্রত মল্লিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাবিগুলি বিবেচনার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।
প্রথমে জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মাঠ নসিপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ আরিফ নামে ওই ছাত্রটিকে। তার পায়ে এবং কোমরে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সাইকেলে চড়ে ওই রাস্তার উপর দিয়ে বনবিবিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল আরিফ। পথে পিছন দিক একটি ট্রাক্টর তাকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয় মানুষজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। শুরু হয় বিক্ষোভ, অবরোধ। বাসিন্দাদের দাবি, দামোদর থেকে প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে বালিবোঝাই ট্রাক, ট্রাক্টর যাতায়াত করে। ভারী গাড়ির চাপে রাস্তা খারাপ হয়। দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তার ধারে স্কুল থাকায় বিপদের সম্ভাবনাও বাড়ে। কিন্তু প্রশাসনের কাছে বারবার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, রাস্তায় হাম্প তৈরির দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের দাবি। এ দিন দুর্ঘটনার পরেও সেই দাবি নিয়ে সাদিপুর-রামাথপুর রাস্তায় অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। অবরোধে যোগ দেন বনবিবিতলা স্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষক – শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা।
প্রধান শিক্ষক বিপদতারণ মণ্ডলের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তায় বালিবোঝাই গাড়ি চলে। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। গ্রামবাসীরা অনেকবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন। কিন্তু গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়নি। আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াসিন শেখ, ইদ্রিস শেখরাও বলেন, ‘‘আমরা এই রাস্তা দিয়ে বালির গাড়ি যাতে না যায় তার জন্য অনেকবার আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু ফল হয়নি। আবরোধ ছাড়া আর উপায় নেই।’’ ওই ছাত্রের চিকিৎসার খরচও দাবি করেন তাঁরা। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে এ নিয়ে বচসাও বাধে। পরে অবশ্য দাবি মানার আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে।
পুলিশের যদিও দাবি, ওই রাস্তায় নিয়মিত নজরদারি চলে। এসডিপিও (বর্ধমান সদর) সৌমিক সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সমস্ত এলাকাতেই নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। আরও নজরে রাখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy