Advertisement
১৬ মে ২০২৪
BJP

অফিস থেকে সরল বিশ্বজিতের জিনিস

দুপুরে কালনা পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশ্বজিৎবাবুর দলীয় কার্যালয় ‘তাপসী মালিক ভবন’ থেকে আসবাব, বিভিন্ন ছবি-সহ নানা জিনিসপত্র সরাতে দেখা যায়।

ভ্যানে তোলা হচ্ছে মালপত্র। শুক্রবার কালনায়। নিজস্ব চিত্র।

ভ্যানে তোলা হচ্ছে মালপত্র। শুক্রবার কালনায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা ও বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২৭
Share: Save:

অফিস থেকে সরল বিশ্বজিতের জিনিস

আগের রাতে কলকাতায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার পর দিন কালনায় দেখা গেল না তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে। তবে তিনি দলের যে কার্যালয়ে বসেন, শুক্রবার সেখান থেকে সরল সবুজ চেয়ার-সহ নানা আসবাব। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বিধায়কের ফোন বেজে গিয়েছে, তিনি ধরেননি।
বুধবার কাঁকসায় সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করতে যাওয়ার সময়ে দল সম্পর্কে ক্ষোভও উগরে দেন কালনার দু’বারের বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবু। তবে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় বৈঠক সেরে বেরনোর সময়ে তিনি বলেন, ‘‘যা বলার ছিল, নেতৃত্বকে বলেছি।’’

বিধায়ক কোথায়, তৃণমূলের তরফে কেউ এ দিন সে ব্যাপারে কেউ কিছু জানাতে পারেননি। তবে দুপুরে কালনা পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশ্বজিৎবাবুর দলীয় কার্যালয় ‘তাপসী মালিক ভবন’ থেকে আসবাব, বিভিন্ন ছবি-সহ নানা জিনিসপত্র সরাতে দেখা যায়। একটি ভ্যানে মালপত্র বোঝাই হতে দেখে ছুটে যান জেলা যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি সন্দীপ বসু, শহর সভাপতি সৌরভ হালদার-সহ অনেকে। ভ্যানচালক তাঁদের জানান, এই সব মালপত্র বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। কালনা শহর তৃণমূল সভাপতি দেবপ্রসাদ বাগের অবশ্য দাবি, ‘‘বিধায়ক দলে আছেন বলেই শুনেছি। ওঁর নেতৃত্বে কাজ করতে আমার আপত্তি নেই।’’ তবে রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু বিশ্বজিৎবাবুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আগে নিজে বলুন তিনি তৃণমূল না বিজেপি।’’

বৃহস্পতিবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে যান কালনা পুরসভার ছয় বিদায়ী কাউন্সিলর। তাঁদেরই এক জন সুনীল চৌধুরী শুক্রবার দাবি করেন, ‘‘নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছর আমাদের কোনও মর্যাদা দেওয়া হয়নি।’’ পুরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদবাবু যদিও বলেন, ‘‘সুনীলবাবু-সহ চার জন বিদায়ী কাউন্সিলর রয়েছেন, যাঁদের বয়স ৭০ বছরের আশপাশে। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের কী ভাবে আমরা কাজ করতে বলব?’’

বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ সুনীলবাবুর সঙ্গেও শুক্রবার বারবার চেষ্টা করে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের দাবি, তিনি মেদিনীপুরে গিয়েছেন। বুধবার সুনীলবাবুর বাড়িতে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন গুসকরার নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘শনিবার মেদিনীপুরে যাচ্ছি। বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।’’ গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

আগের রাতে কলকাতায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার পর দিন কালনায় দেখা গেল না তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে। তবে তিনি দলের যে কার্যালয়ে বসেন, শুক্রবার সেখান থেকে সরল সবুজ চেয়ার-সহ নানা আসবাব। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বিধায়কের ফোন বেজে গিয়েছে, তিনি ধরেননি।

বুধবার কাঁকসায় সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করতে যাওয়ার সময়ে দল সম্পর্কে ক্ষোভও উগরে দেন কালনার দু’বারের বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবু। তবে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় বৈঠক সেরে বেরনোর সময়ে তিনি বলেন, ‘‘যা বলার ছিল, নেতৃত্বকে বলেছি।’’

বিধায়ক কোথায়, তৃণমূলের তরফে কেউ এ দিন সে ব্যাপারে কেউ কিছু জানাতে পারেননি। তবে দুপুরে কালনা পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশ্বজিৎবাবুর দলীয় কার্যালয় ‘তাপসী মালিক ভবন’ থেকে আসবাব, বিভিন্ন ছবি-সহ নানা জিনিসপত্র সরাতে দেখা যায়। একটি ভ্যানে মালপত্র বোঝাই হতে দেখে ছুটে যান জেলা যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি সন্দীপ বসু, শহর সভাপতি সৌরভ হালদার-সহ অনেকে। ভ্যানচালক তাঁদের জানান, এই সব মালপত্র বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। কালনা শহর তৃণমূল সভাপতি দেবপ্রসাদ বাগের অবশ্য দাবি, ‘‘বিধায়ক দলে আছেন বলেই শুনেছি। ওঁর নেতৃত্বে কাজ করতে আমার আপত্তি নেই।’’ তবে রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু বিশ্বজিৎবাবুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আগে নিজে বলুন তিনি তৃণমূল না বিজেপি।’’

বৃহস্পতিবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে যান কালনা পুরসভার ছয় বিদায়ী কাউন্সিলর। তাঁদেরই এক জন সুনীল চৌধুরী শুক্রবার দাবি করেন, ‘‘নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছর আমাদের কোনও মর্যাদা দেওয়া হয়নি।’’ পুরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদবাবু যদিও বলেন, ‘‘সুনীলবাবু-সহ চার জন বিদায়ী কাউন্সিলর রয়েছেন, যাঁদের বয়স ৭০ বছরের আশপাশে। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের কী ভাবে আমরা কাজ করতে বলব?’’

বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ সুনীলবাবুর সঙ্গেও শুক্রবার বারবার চেষ্টা করে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের দাবি, তিনি মেদিনীপুরে গিয়েছেন। বুধবার সুনীলবাবুর বাড়িতে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন গুসকরার নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘শনিবার মেদিনীপুরে যাচ্ছি। বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।’’ গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Biswajit Kundu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE