Advertisement
০৪ মে ২০২৪

ভর্তিতে ‘জুলুম’ রুখতে ব্যবস্থা

ভর্তি নিয়ে নানা কলেজে দাদাগিরি চলছে, অভিযোগ পৌঁছেছে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে। সরকারি ভাবে কোনও কলেজেই ছাত্র সংসদ না থাকলেও ছাত্র নেতারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শক দল পাঠিয়েছে। এ বার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাল জেলা পুলিশও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০৭:০০
Share: Save:

ভর্তি নিয়ে নানা কলেজে দাদাগিরি চলছে, অভিযোগ পৌঁছেছে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে। সরকারি ভাবে কোনও কলেজেই ছাত্র সংসদ না থাকলেও ছাত্র নেতারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শক দল পাঠিয়েছে। এ বার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাল জেলা পুলিশও।

কলেজে ভর্তির ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙার জন্য পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভর্তি হতে গিয়ে আর্থিক জুলুম বা দাদাগিরির শিকার হতে হচ্ছে, এমন ভুক্তভোগীদের জন্য ই-মেল এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ। সে ভাবে ই-মেল এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্র বা অভিভাবকদের নির্ভয়ে যোগাযোগ করতে বলা হবে, জানিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশও। অভিযোগকারীর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি মহকুমায় সাদা পোশাকের দল নানা কলেজে আচমকা হানা দেবে। কোনও অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে তারা। দু’এক দিনের মধ্যেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

গত শুক্রবার বর্ধমানে দলের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের কাছে ভর্তি প্রক্রিয়ায় টিএমসিপি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের নেতারা। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, কলেজে বহিরাগতদের দাপাদাপি বন্ধের জন্য নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এর পরেই মেমারি কলেজের ছাত্র সংসদে তালা ঝুলিয়ে দেন অধ্যক্ষ দেবাশিস চক্রবর্তী। বর্ধমান শহরের একটি কলেজে পুলিশ বহিরাগতদের তাড়াও করে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় এ বার প্রতিদিন মেধা তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে টাঙাতে নির্দেশ দিয়েছিল কলেজগুলিকে। তার পরেও নালিশের অন্ত নেই। এসএফআইয়ের অভিযোগ, ৯ জুন থেকে জেলার বিভিন্ন কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হাটগোবিন্দপুর কলেজের ওয়েবসাইটে মেধাতালিকা প্রকাশের পরে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। গলসি কলেজের ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এ গরমিল রয়েছে। এই সব থেকেই পরিষ্কার, মেধা নয়, টাকার বিনিময়ে ভর্তি হচ্ছে— দাবি এসএফআই নেতাদের।

জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও সরাসরি কোনও অভিযোগ আসেনি। তবু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো আমরা জেলার প্রতিটি কলেজের সামনে ফ্লেক্স দিয়ে নির্ভয়ে অভিযোগ জানাতে বলব। ওই ফ্লেক্সেই ফোন নম্বর ও ই-মেলের ঠিকানা দেওয়া থাকবে।’’ তাঁর আশ্বাস, টাকার বিনিময়ে ভর্তি বা দাদাগিরির অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগকারীর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE